অবশেষে ফরম ফিলাপের অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেল বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীরা


483 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
অবশেষে ফরম ফিলাপের অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেল বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীরা
ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫ কালিগঞ্জ ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি :
২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফরমফিলাপ বাবদ নেয়া বোর্ড ফি’র অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিয়েছে বিষ্ণুপুর পিকেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরমোহাম্মদ তেজারত অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি জানার পর বিষ্ণুপুর পিকেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দ্রুত টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন।

তার নির্দেশ সত্ত্বেও টাকা নিয়ে টালবাহানা চলতে থাকে। এ ঘটনায় সোমবার জাতিয় ও স্থানীয় পত্রিকায় তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার মন্ডল সোমবার দুপুরের দিকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে ডেকে নিয়ে তাদের কাছ থেকে নেয়া বোর্ড নির্দ্ধারিত ফিসের অতিরিক্ত ৭৫০ টাকা হারে ফেরত দেন। এর ফলে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বর দেয়া হবে বলে প্রধান শিক্ষক ও কয়েকজন সহকারী শিক্ষক তাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এমনকি ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়ানো হবে না বলে উক্ত বিষয়ের শিক্ষকরা হুমকি দিচ্ছেন।
এসব কারণে পিকেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। বিষয়টি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে সর্বসাকুল্যে ১৪৫৫ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ১৩৫০ টাকা নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও বিষ্ণুপুর পিকেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে জোরপূর্বক ২৩৫০ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ২২৫০ টাকা হারে আদায় করেন।

উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয় অতিরিক্ত হারে টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সচেতন মহল।