
অনলাইন ডেস্ক ::
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সামুদ্রিক সম্পদ ও সামুদ্রিক বাণিজ্য রক্ষায় সমুদ্রে নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার সামুদ্রিক সম্পদের অপার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে সামুদ্রিক খাতের উন্নয়নে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কিন্তু সমৃদ্ধ অর্থনীতি কেবল তখনই সম্ভব, যখন আমরা সমুদ্রে একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারব। সে লক্ষে আমরা সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় পরিকল্পিত সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গুণগত উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন করে যাচ্ছি।’
কক্সবাজারে ইনানী সমুদ্রসৈকতে ‘সীমানা ছাড়িয়ে বন্ধুত্ব’ প্রতিপাদ্যে নৌবাহিনীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ’ উদ্বোধনকালে আজ বুধবার সকালে তিনি এ কথা বলেন। খবর- বাসস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবাধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিশ্চিত করার জন্য নিরাপদ সমুদ্র অপরিহার্য। কারণ, বর্তমানে বিশ্বের ৯০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথ দিয়ে হয়।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ভৌগোলিক সীমানার মাধ্যমে আমাদের সকল দেশ বিভক্ত হলেও বন্ধুত্বের সেতুবন্ধনে সমুদ্র উপকূলীয় সকল দেশের সঙ্গে আমরা একই সূত্রে গাঁথা। ‘সীমানা ছাড়িয়ে বন্ধুত্ব’ প্রতিপাদ্যে এই ইভেন্ট আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে সক্ষম হবে। যা সকল সামুদ্রিক দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধিতে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো এই ফ্লিট রিভিউয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, সৌদি আরব, ভারত, চীন, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস এবং স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের নৌবাহিনী ও মেরিটাইম সংস্থার অংশগ্রহণ করেছে। ২৮ দেশের ৪৩টি যুদ্ধজাহাজ, দুটি বিএন এমপিএ, চারটি বিএন হেলিকপ্টার এতে অংশ নিয়েছে।
নৌবাহিনীর উদ্যোগে চার দিনব্যাপী এ আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক সামরিক ভাবমূর্তি ও সক্ষমতার নতুন বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে। এ ছাড়া কক্সবাজারকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।