
আলতাফ হোসেন বাবু :
আজ সেই ভয়াল ২৮ ফেব্রুয়ারী| ২০১৩ সালের এই দিনে আন্তর্জাতিক ট্র্যাইবুন্যালে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ফাঁসির দÛvদেশ দেয়ার পর ওই রায়ের বিপক্ষে জামায়াত-শিবির অবস্থান নেয় এবং মাওঃ সাঈদীসহ জামায়েতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিশর্তমুক্তির দাবীতে ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা জামায়েতের ডাকে জামায়াত-শিবির কদমতলা মোড়ে সমাবেশ করে।
জামায়াত-শিবির নেতা কর্মীরা সমাবেশ শেষে আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠি,দা হাসুয়া সহ জঙ্গি মিছিল নিয়ে কদমতলা মোড় থেকে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করতে করতে শহরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। মিছিলটি শহরের সার্কিট হাউস মোড়ে পৌছালে বিক্ষুদ্ধ জামায়াত-শিবির নেতা কর্মীরা সার্কিট হাউসে প্রবেশ করে ভাংচুর লুটপাট করার চেষ্টা করে। পুলিশ ওই মিছিলে বাধা দিলে জামায়াত শিবির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে, বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল ও গুলি নিক্ষেপ করে।
মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করতে পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে । জামায়াত শিবির নেতা কর্মীরা পুলিশকে লক্ষকরে বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষন করে।
ওই সময় ডিবি পুলিশের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। পরে বিজিবি ও র্যাব সহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে শহর রক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।
জামায়াত-শিবিরের টানা নারকীয় তান্ডবে ছাত্রলীগ নেতা , যুবলীগ নেতা আবু রায়হানসহ একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়।আহত হয় অর্ধ শতাধিক সাধারণ মানুষ। জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা একই সময়ে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি ঘরে অগ্নি সংযোগ করে লুটপাট চালায়,
ছাত্রলীগ নেতা মামুনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এবং হাতুড়ি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আসংখ্যা জনকঅবস্থায় মামুনকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে, পরে খুলনা ২৫০শয্যা হাসপাতালে স্থান্ততর করা হয়। খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ নেতা মামুনের মৃত্যু হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারীর টান্ডবে আহত হন, সাতক্ষীরা ডিএসবি’র রিয়াজ, বিজিবি সদস্য ফরিদ অর্ধ শতাধিক সাধারণ মানুষ আহত হয়। ২০১৩ সালরে ২৮ ফব্রেুয়ারী থেকে ২০১৪ সালরে ৫ জানুয়ারী নির্বাচন পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগ নেতা প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগীরে সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান,
উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা আলমগির হোসন, সদরের শীবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রবউিল, বল্লী আ’লীগ কর্মী এজহার আলী, শহরযুবলীগ নেতা গিয়াসউদ্দীন, কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জজমিয়া সহ জামায়াত-শবিরিরে তান্ডবে একে একে আওয়ামীলীগের ১৮জন নেতা-র্কমী নিহত
হন।
সইে বভিস্ব ঘটনা ভুলতে পারছনো নহিতরে পরিবার। দখেতে দখেতে ৩ বছর পেরিয়ে গলেওে হত্যার বিচার হয়নি একটিও।
কিন্তু সেদিন যাদের নতেৃত্বে শতাধীক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ীতে হামলা,লুটপাট ও অগ্নসিংযোগ ও হতাহতরে ঘটনা ঘটছেলি সইে র্শীষ স্থানীয় জামায়াত নেতা মুহাদ্দেস আব্দুল খালেক, নুরুল হুদা ও হাববিুর রহমান এখনো রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইর। গ্রফেতার না হওয়ায় সরকারের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছে ক্ষতগ্রস্থ স্বজন হারা পরিবার।
মানুষ এখনও ভুলতে পারছে না। অকালে ঝরে যাওয়া সাতক্ষীরা সটিি কলজে ছাত্রলীগরে সাবকে সভাপতি প্রভাষক মামুন হোসনের স্ত্রী জান্নতুল ফরেদৌসি
তন্নী এখনও সইে জামায়াতী তান্ডবরে সৃতি মনে করতইে আতঙ্কে উঠেন তিনি। চোখরে সামনে স্বামীকে হত্যার দৃশ্য যনে কোন ভাবইে ভুলতে পারছে না তিনি। এসব হত্যার দ্রুত বচিার বাস্তবায়ন দখেতে চায় নহিতরে স্বজনরা।