
ডেস্ক : বরেণ্য কথাসাহিত্যিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের আজ তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি এক সৃষ্টিশীল মানুষ। ছোটগল্প লিখে আলোড়ন তুলেছেন, উপন্যাস লিখে মোহগ্রস্ত করেছেন, চলচ্চিত্র নির্মাণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই হুমায়ূন আহমেদ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন চিরঅন্তরালে।
উল্লেখ্য, নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর হুমায়ূন আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। মায়ের নাম আয়েশা ফয়েজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে শুরু হয় হুমায়ুনের পেশাজীবন। যদিও এখানে থেমে থাকেননি। শুধু ‘লেখক’ হবেন, এই স্বপ্ন নিয়ে তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে দেন। ‘নন্দিত নরকে’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘গৌরিপুর জংশন’ ‘বহুব্রীহি’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’- এমন অনেক পাঠক নন্দিত সাহিত্যের সৃষ্টি তার হাত দিয়ে। তার হাতেই প্রাণ পেয়েছে বাংলা সাহিত্যের দুটি অসম্ভব পাঠকপ্রিয় চরিত্র মিসির আলী এবং হিমু।