
সোহরাব হোসেন সবুজ, নলতা প্রতিনিধি :
মাতৃহীন সেলিনা আক্তার (১৯)। শ্যামনগরের আটুলিয়া গ্রামের মাজেদ ঢালীর কন্যা। সেলিনার পিতা একজন সহায় সম্বলহীন বৃদ্ধ মানুষ। পড়াশুনা আর পরের সংসারে কাজ করে জীবন চলত সেলিনার। ১৫ বছর বয়স থেকে দেখা দিল শারিরিক সমস্যা। ডাক্তার বলছে,সেলিনার হৃদপিন্ড ছিদ্র। সেখান থেকে দিন দিন সেলিনার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ঠিক মত আর কাজ করতে পারল না। পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেল। সম্প্রতি তার হৃদপিন্ডের সমস্যা দেখা দিল মারাত্বকভাবে। সেলিনা জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কেঁদে পড়ল বিভিন্ন মানুষের কাছে। পূর্ব পরিচিত হিসাবে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিল মাত্র কয়েকজন বন্ধু মিলে। যার প্রধান উদ্যোক্তা কালিগঞ্জের নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হোসনে আরা লাইজু। তিনি মায়ের মত করেই দেখা শুনা করতে থাকলেন সেলিনাকে। কিন্তু তিনিও তো বিত্তবান ব্যক্তি নয়। অর্থ না থাকলেও তিনি সেলিনাকে নিয়ে ছুটেছেন জীবন বাঁচানোর মহৎ কাজের পিছনে। লক্ষ্য একটাই। সেলিনাকে বাঁচাতে হবে। সে তো মানুষ। তার চেষ্টায় ভর্তি করা হল জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। কিছু টাকা জমাদিয়ে গতকাল তার অপারেশন করানো হয়। ডাক্তার বলল প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হবে। শিক্ষিকা লাইজু দেশ বিদেশে বিভিন্ন পরিচিত জনের কাছে যোগাযোগ করে অল্প কিছু সহযোগিতা পেয়েছেন। জানা যায়, নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশন থেকে ১০ হাজার, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮ হাজার এবং অন্যান্য স্থান থেকে ৫ হাজার টাকা এ পর্যন্ত তিনি সংগ্রহ করতে পেরেছেন। কিন্তু কিভাবে তিনি এ মহৎ কাজের শেষ তুলতে পারবেন ? কিভাবে বাঁচবে সেলিনার সম্ভাবনাময় জীবন ? যদি আপনার বিবেক, আপনার মন জেগে ওঠে এবং শিক্ষিকা লাইজু’র মত আপনিও একটু বাড়িয়ে দেন আপনার সাহায্যের হাতটি, তাহলে করুনাময়ের দয়ায় বেঁচে যেতে পারে সেলিনা আক্তারের সম্ভাবনাময় তাজা প্রাণ।