
এস কে সিরাজ, শ্যামনগর ::
শ্যামনগর উপজেলার ৭৫ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী জেবা তাসনিয়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশ গ্রহণে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে দেশ মুক্তিযুদ্ধের আবৃতিতে সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিযোগিদের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
সে নকিপুর গ্রামের বাসিন্দা আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান হাসান হাফিজুর রহমান ও নকিপুর হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাছিমা খাতুনের কন্যা। নকিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ও রোল ১।
জানা যায়, জেবা তাস নিয়া চলতি বছরে আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় একক অভিনয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ১ম, সৃজনশীল নৃত্য প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে ১ম ও জেলা পর্যায়ে ২য়, উপস্থিত অভিনয় প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে ১ম ও জেলা পর্যায়ে ৩য়, আবৃতি প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে ১ম ও জেলা পর্যায়ে ২য় স্থান অধিকার করেছে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০১৭তে সৃজনশীল নৃত্য প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে ১ম ও জেলা পর্যায়ে ২য়,উপস্থিত অভিনয়ে উপজেলা পর্যায়ে ১ম ও জেলা পর্যায়ে ৩য়, আবৃতি প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে ১ম ও জেলা পর্যায়ে ৩য় হয়েছে। এছাড়া জেবা তাস নিয়া সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
তার পিতা জানান জেবা তাস নিয়া জন্ম থেকে হেমালজিওমা রোগে আক্রান্ত এক জন শিশু। বাংলাদেশের বিভিন্ন চিকিৎসকের নিকট তাকে চিকিৎসা করা হয়েছে বা চলছে।
তবে চিকিৎসকরা বলেছেন তার উন্নত চিকিৎসার দরকার। আর এজন্য বেশ অর্থেরও প্রয়োজন।কিন্ত অর্থাভাবে সুষ্ঠ চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছেনা বলে পিতা হাফিজুর রহমান জানান।
জানা যায় তার সাংস্কৃতিক অংগনে কৃতিত্ব অর্জনের জন্য বিভিন্ন সময়ে জেলা ,উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ সহ পিতার পরামর্শ ছিল। জেবা তাস নিয়া এক জন প্রতিভাময়ী শিশু। তার উন্নত চিকিৎসায় সরকারী-বেসরকারী সহায়তা প্রয়োজন বলে অনেকে মতামত প্রকাশ করেন।
##