
আবু ছালেক ::
আশাশুনি উপজেলার সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়ানের বানভাসি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম।
শনিবার সকালে তিনি ক্ষতিগ্রস্হ এলাকা
পরিদর্শন কালে বলেন- উপজেলার প্রত্যেকটি দুর্যোগময় মুহূর্তে আমি আপনাদের পাশে ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। দুর্যোগকালীন সময় যতদিন থাকবে মানুষ যেন খাদ্য সহায়তা পায় তার ব্যবস্থা করা হবে কেউ অভুক্ত থাকবে না এবং খাদ্য সংকটে পড়বেন না তার জন্য আমি সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। তিনি আরও বলেন সাগরে নিন্মচাপের প্রভাবে টানা বর্ষণে নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট গ্রামের রিং বাঁধটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি, প্রতাপ নগর ইউনিয়নের চাকলা, সুভদ্রাকাটি, রুইয়ারবিল, নাকনা ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের তীব্র স্রোতে এবং জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে এই ২ ইউনিয়নের সমস্ত গ্রাম প্লাবিত ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের আংশিক এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। মানুষ পানিবন্দী হয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। পানিবন্দি মানুষ খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগছে এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। বাঁধগুলোর বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে ও ধ্বসে যাচ্ছে। দয়ারঘাট, হাজরাখালী ও প্রতাপনগরের বাঁধগুলি টেঁকসই করে নির্মান করার দায়িত্ব পেয়েছেন আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে শীত মৌসুমে ছাড়া বাঁধগুলি মেরামত সম্ভব নয় বিধায় সে পর্যন্ত আমাদের এসব রিং বাঁধগুলি টিকিয়ে রাখতে হবে। আমি জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছি। সেনাবাহিনীসহ ঠিকাদার কাজ শুরু না করা পর্যন্ত বাঁধগুলি মেরামত করতে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। ভাঙ্গন কবলিত বাঁধ নির্মাণ ও পানিবন্দি অসহায় মানুষের মানবেতর জীবন থেকে রক্ষা পেতে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।ক্ষতিগ্রস্হ রিং বাঁধ বানভাসি এলাকা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা শাকিল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স ম সেলিম রেজা মিলন, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চুসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।