
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আশাশুনি উপজেলার লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের নিরীহ তিন দিনমজুরের নামে মিথ্যে ধর্ষন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন মিথ্যে ধর্ষন মামলার আসামী লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সবুর শেখের স্ত্রী কুলসুম বিবি।
সংবাদ সম্মেলনে কুলসুম বিবি বলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার লাঙ্গলদাড়িয়া মৌজার এস,এ, ৩০০ খতিয়ানের তিনটি দাগের মধ্যে হতে ক্রয় সূত্রে ১০ শতক ও ইজারা মূলে ১২ শতকসহ মোট ২২ শতক জমির মালিক তার স্বামী আব্দুস সবুর শেখ। ২০০১ সাল থেকে চলতি ২০১৫ সাল পর্য়ন্ত ওই ১২ শতক জমি একসনা ইজারা নিয়ে তারা ভোগ দখল করে আসছে। কিন্ত একই গ্রামের আতিয়ার রহমান সরদার তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন ও মেয়ে রানু সুলতানা ওরফে তাহেরা ওই জমি থেকে ৩ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করার উদ্দেশ্যে ঘেরা বেড়া দিতে গেলে তারা বাধা দেয়। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার স্বামীসহ অন্যদের উপর চড়াও হয়। একপর্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিমাংশ হলেও আতিয়ার রহমান সরদার ফের ওই জমি দখল নেয়ার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, এঘটনায় আতিয়ার রহমান দিংদের বিরুদ্ধে আদালতে ৬৭০/১৫ নং পিটিশন মামলা দায়ের করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তার (কুলসুম) স্বামী ও অন্যদেরকে শায়েস্তা করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ মে’র ঘটনা উল্লেখ করে রানু সুলতানা ওরফে তাহেরা বাদী হয়ে তার স্বামী আব্দুস সবুর শেখ একই গ্রামের মহি উদ্দিন মল্লিক ও হাজরাখালী গ্রামের কহিনুর গাজীকে আসামী করে ২৬ মে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মিথ্যে ধর্ষনের মামলা দায়ের করে। যা পরবর্তীতে আশাশুনি থানায় এজাহার হিসাবে গণ্য করা হয়। এ মিথ্যে ধর্ষন মামলার বিষয়ে জানাজানি হলে এলাকাবাসী রানু সুলতানা ও তারা মা-বাবাকে ধিক্কার দিতে থাকে। এক পর্যায় নিজেদের রক্ষা করতে গত ২৭ জুলাই রানু সুলতানা অর্থের বিনিময় পুলিশকে ম্যানেজ করে মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে মর্মে অভিযোগ করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। বিষয়টি প্রত্রিকায় প্রকাশের পর সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারি পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) ও আশাশুনি থানার ওসি লাঙ্গলদাড়িয়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসী মামলাটি সম্পূর্ন মিথ্যে বলে সাক্ষ্য দেয় এবং বাদীর শাস্তি দাবি করে।
তিনি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যে ধর্ষন মামলার দায় থেকে তারা স্বামী সবুর শেখসহ অন্যদেরকে অব্যহতি দেয়ার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।