
এস,কে হাসান ::
আশাশুনিতে ১৭ই মে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়েছে। বুধবার সন্ধায় আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয় । সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম হোসেনুজ্জমান হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস,এম আসাদুল ইসলাম। উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আমিরুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স,ম সেলিম রেজা সেলিম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ মহিতুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস,এম সাহেব আলী, সাবেক ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বিপুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ইসলাম প্রমুখ । এসময় এস.এম হোসেনুজ্জমান হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আজকের এই দিনে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারতের এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ওই দিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন লাখো মানুষ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এই দিনে প্রথমবারের মতো মাতৃভূমিতে ফেরেন শেখ হাসিনা। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে লাখো জনতার সংবর্ধনায় বঙ্গবন্ধুকন্যা সেদিন বলেছিলেন, সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই কামাল, জামাল, রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।