
গোপাল কুমার, আশাশুনি :
আশাশুনি ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে মুক্তি পেল স্কুল পড়–য়া ৩ ছাত্রী। বাল্য বিবাহের অপরাধে পিতা ইনুছুর রহমান ও বিবাহ পড়াতে আসা কাজী মাও: আব্দুল হামিদকে প্রত্যকে ৭দিনে জেল প্রদান করেন। কন্যার মাতা আজিরন ও চাচাকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দরহাপুর ইউনিয়নে দক্ষিণ দরগাহপুর ও টেকাকাশিপুর গ্রামে। ওই ৩ জনই ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।
জানাগেছে, আশাশুনি উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোছাম্মৎ মমতাজ বেগম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও পুলিশ ফোর্স নিয়ে বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিবাহের অপরাধে ৯ম শ্রেণী স্কুল পড়–য়া নাবলিকা কন্যার তানিয়াকে বাল্য বিবাহ দেওয়ার অপরাধে পিতা ইউনুছুর রহমান কে ৭দিনের জেল প্রদান করেন। এবং ৯ম শ্রেণী স্কুল পড়–য়া নাবিলকা কন্যা যমুনাকে বিবাহের অপরাধে পিতা রফিকুল ইসলামকে না পেয়ে তার মাতা আজিরন বেগমকে ১ হাজার টাকা জরিমান আদায় করেন। এসময় যমুনাকে বিবাহ পড়াতে আসা মাওলানা আব্দুল হামিদকে ৭দিনের জেল দেয়া হয়। অপরদিকে একই অপরাধে ৯ম শ্রেণী পড়–য়া কন্য তানজিলার পিতা রফিকুল ইসলামকে না পেয়ে তার চাচাকে ১ হাজার টাকা পরিমানা আদায় করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতি টের পেয়ে বর পক্ষ নাপাত্তা হয়ে যায়।