
কৃষ্ণ ব্যানার্জী :
আশাশুনির খাজরা ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদার রহমানের বিরুদ্ধে এক এস এস সি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে কু প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে সাময়িক ভাবে বহিষ্কারের পর দুই লক্ষাধিক টাকা দিয়ে শ্বশুড়, স্বামী ও বাবাকে ম্যানেজ করে ছাত্রীকে দিয়ে এভিডেভিড প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার উকিল বারে এঘটনা ঘটে।
স্কুল ছাত্রী জানায়, লম্পট প্রধান শিক্ষক সাইদার রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার পর আমার স্বামীর বাড়ি পাইকগাছা উপজেলার লস্কার গ্রামে গিয়ে শ্বশুড় সুবল চন্দ্র মন্ডল,স্বামী মনোতোষ মন্ডল ও বাবা রমেশ মন্ডলকে পর দুই লক্ষাধিক টাকা দিয়ে ধরম আতœীয় করে । সুযোগ বুঝে শুক্রবার দুপুরে পাইকগাছা উপজেলার উকিল বারে নিয়ে যায়।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাস, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শাহানেওয়াজ ডালিম জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জান্তে পেরে পাইকগাছা থানার এস
আই রোকুজ্জামানের সাথে নিয়ে উকিল বারে অভিযান চালিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
পাইকগাছা থানার এস আই রোকুজ্জামান জানায়, আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার দলবল পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয়ের সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেয়েটি বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাত ৮টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ স্কুল ছাত্রীর বাবার বাড়ি খাজরা ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামে পরিদর্শন করেন। এসময় জেলার সভাপতি মমতাজ বেগম, সাধারন সম্পাদক জোছনা দত্ত, তহিবা রহমান, সাংবাদিক অসীম বরণ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ৬জানুয়ারী বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই এস এস সি পরীক্ষার্থী স্কুলে প্রাইভেট পড়তে আসলে প্রধান শিক্ষক সাইদার রহমান ছাত্রীকে কু প্রস্তাব দেন ও তার রুমের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি ছাত্রী সহকারি শিক্ষিকা শরিফা নাসরিন কে জানালে তিনি ম্যানেজিং কমিটি ও সহকারী প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় শাস্তি ও অপসরণের দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের শত শত ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা অংশ গ্রহন করেন। বক্তরা লম্পট প্রধান শিক্ষকের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান। ওই দিন বিকেলে স্কুল ছাত্রী বাদি হয়ে আশাশুনি থানায় একটি মামলা করে।