
গোপাল কুমার, আশাশুনি :
আশাশুনির বাইনতলার কমল চন্দ্র মন্ডল তার কিশোরী কন্যা বিশাখা মন্ডলকে ভারতে পাচার মামলায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ভুয়া সনদপত্র দেখিয়ে আশাশুনি থানার দারোগা রাশিদুজ্জামান কর্তৃক উৎকোচের বিনিময় ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
বুধবার আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার কন্যা বিশাখা মন্ডল বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। জন্ম সূত্রে ও সাটির্ফিকেট মোতাবেক তার জন্ম তারিখ ০৫/০১/১৯৯৯সাল। কলেজে যাওয়া আসার পথে আমার মেয়ের সাথে পার্শ্ববর্তী রনজিৎ কুমার সরকার ওরফে খুচু’র পুত্র হরিচাদ সরকার প্রেমজ গতে তোলে। এ সুযোগে আমার মেয়ে বিশাখাকে গত ১০এপ্রিল কলেজে যাওয়ার পর আর বাড়ী ফিরে আসেনি। সে মোতাবেক আমার মেয়ের বয়স হয় ১৬ বছর ৩মাস ৭দিন।
বহু খোজা খুজি করে জানতে পারলাম কলেজ থেকে ফেরার পথে হরিচাদ সরকার তার অন্যান্য সহযোগি স্বপন ঢালীসহ অন্যান্য সহযোগিদের মাধ্যমে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমি সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৭/৮ ধারায় ৭৩/১৫নং মামলা রুজু করি।
বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আশাশুনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নালিশী অভিযোগটি এফআইআর হিসাবে গণ্য করতঃ ২৬মে তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
আশাশুনি অফিসার ইনচার্জ ২৯ এপ্রিল ২৬(০৪) ১৫ নং মামলা রেকর্ড করে তদন্তের জন্য এসআই রাশিদুজ্জামান উপর দায়িত্ব অর্পন করেন। কিন্তু তদন্তকারী এসআই রশিদুজ্জামান এজাহার ভুক্ত আসামী গ্রেপ্তার ও ভিকটিম উদ্ধার না করে অধিক উৎকোচের বিনিময়ে আসামীদের পক্ষ নিয়েছে।
তিনি এজাহারে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী উল্লেখ থাকার স্বত্বেও সাটিফিকেট না দেখে আসামীদের মাধ্যমে বাইনতলা স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বিভুতি ভুষন মিস্ত্রীর নিকট থেকে ভুয়া জন্ম তারিখ সম্বলিত প্রত্যয়ন পত্র আমলে নিয়েছেন। ওই ভূয়া সনদে উল্লেখ রয়েছে আসামী হরিচাদ সরকারের জন্ম তারিখ ০৩/০৮/১৯৯৬ ও ভিকটিম বিশাখা মন্ডলের জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ০৮/০৪/১৯৯৭ সাল যাহা স্কুল রেজিস্টারের সাথে কোথাও কোন মিল নেই।