আশাশুনিতে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও হতভাগা রোজিনা বিচার বঞ্চিত


496 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
আশাশুনিতে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও হতভাগা রোজিনা বিচার বঞ্চিত
মার্চ ২৪, ২০১৮ আশাশুনি ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

এস,কে হাসান ::
আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের আঃ মান্নান শেখের কন্যা রোজিনা যৌতুক লোভি স্বামীর নির্যাতন ও বিতাড়িত হয়ে ভিক্ষাবৃত্তির ন্যায় অসহায় জীবন যাপন করছেন। বিভিন্ন দপ্তরে বিচার প্রার্থী হয়েও বিচার না পেয়ে তিনি চরম ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।
আঃ মান্নান শেখ ২০১২ সালে সামাজিক ভাবে নিকাহ রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রী করে তার মেয়ে রোজিনাকে বিয়ে দিয়েছিলেন বাহাদুরপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলি গাজীর পুত্র আবুল হোসেনের সাথে। আবুলের ১ম স্ত্রী ছিল, তাকে তালাক দিয়ে তার প্রমানপত্র দেখানোর পর কুল্যা ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্ট্রার তাদের বিবাহ রেজিষ্ট্রী করান। নিকাহ রেজিঃ নং ১৭০/১২, ভলুয়ম নং এ/১৫, পেজ নং ৩২। গরীব পিতা কন্যা দায়গ্রস্ত হওয়ার কারনে সেসময় জামাইকে জমি বিক্রয় ও গাছ বিক্রয় করে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছিলেন। দু’বছর পর আবার ছলচাতুরী করে আরও ১৫ হাজার টাকা আদায় করে নিয়েছিল। ক্রমে ক্রমে সে ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অপরদিকে গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের ১ম স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে সে ১৫ দিন জেলে ছিল। ২য় স্ত্রী ২০ হাজার টাকা খরজ করে স্বামীকে জামিনে আনে। দু’বছর যেতে না যেতে আবুল তার স্ত্রীর উপর নানা অযুহাতে নির্যাতন শুরু করে এবং মটর সাইকেল কেনার জন্য সমিতি থেকে টাকা তুলে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। টাকা না দেওয়ায় সে স্ত্রীকে খোরাকী বন্দ করে দেয়। এবং পুনরায় ১ম স্ত্রীর কাছে চলে যায়। উপায়ান্তর না পেয়ে রোজিনা ব্র্যাক আইন সহায়তা কেন্দ্র বুধহাটায় ২০১৬ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ব্র্যাক ২৫/১০/১৬ থেকে এ পর্যন্ত ১২ বার নোটিশ করলেও প্রতারক স্বামী আবুল হোসেন রাজু উপস্থিত হচ্ছেনা। সেখানে শালিসী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অসহায় রোজিনা এরপর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আশাশুনিতে ৬/১১/১৭ তাং পৃথক অভিযোগ করেছেন। দীর্ঘ সময়ে বিচার না পেয়ে এবং পেটের জ¦ালা সহ্য করতে না পেরে রোজিনা এখন ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। রোজিনার আকুতি তার বিচার করার কি কেউ নেই এই সমাজে। আইন কি হতভাগ্য স্ত্রীর স্বামীর দাপটের কাছে পরাজিত থাকবে? তাকে কি ভিক্ষাবৃত্তির মত ঘৃণ্য পথে জীবন চালাতে হবে?