
গোপাল কুমার, আশাশুনি ব্যুরোঃ
আশাশুনিতে ১৮ মাসের শিশু কন্যার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত কলেজ ছাত্র লম্পট আহসান উল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ ফেব্রুয়ারী দুপুরে উপজেলার জামালনগরে। পুলিশ, স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানাগেছে, ঘটনার দিন জামালনগর গ্রামের জনৈক্য এর ১৮ মাসের শিশু কন্যাকে একই গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের কলেজ পড়–য়া পুত্র আহসান উল্লাহ বেড়াতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর ঘরের পিছনে শিশু কন্যা কান্নাকাটি করে উঠলে কান্না শুনে তার মা সহ পরিবারের লোকজন দৌড়ে যেয়ে তাকে উদ্ধার করে। শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাঃ তাকে দেখে আশাশুনি হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তাকে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। গত ৪ দিন যাবৎ চিকিৎসা শেষে ডাক্তার শিশু কন্যাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। এব্যাপারে শিশু কন্যার মাতা পারুল আক্তার বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(৪)(খ) ধারায় কটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামী নরপশু আহসান উল্লাহকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এসআই আব্দুর রাজ্জাক তাকে আটক করেছে। স্থানীয় শালিস কারকগণ ৩০হাজার টাকা নিয়ে রফাদফা করারও খবর পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ঘটনা প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার কারণ জানতে জাইলে বাদীনি পারুল খাতুন সাংবাদিকদের জানায়, সাবেক মেম্বর মালেক হাজী, বর্তমান মেম্বর মফিজুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান, নূর ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম ও আশাশুনির কতিপয় সাংবাদিক অভিযুক্ত আহসান উল্লাহর পরিবারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে মামলা না করতে আমার উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। তাদের ভয়ে আমি থানায় মামলা করতে আসতে পারিনি। আসামী আহসান উল্লাহকেও ঐদিন ভোর রাতে এসআই আব্দুর রাজ্জাক তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামী আহসান উল্লাহকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ###