
স্টাফ রিপোর্টার ::
আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি কার্ড পেতে কার্ড প্রতি দেড় শত টাকা করে সচিবকে দিতে হচ্ছে।
কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদে এ বছর ৩৩০ খানা ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কার্ড প্রাপক নির্বাচন করতে আবেদন সংগ্রহ করা হয়। মোট ৩৪৬ টি আবেদন গ্রহন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। এসব কার্ড পেতে অন লাইনে আবেদন করতে হয়। আবেদন করার জন্য ইউপি সচিব সিরাজুর রহমান প্রত্যেক কার্ডের বিপরীতে এক শত পঞ্চাশ টাকা করে আদায় করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে কুল্যা ইউনিয়নে কেবলমাত্র আবেদনের কাজ সম্পাদনের জন্য ইউপি সচিব আদায় করেছেন ৫১ হাজার ৯ শত টাকা। কার্ডের তালিকাভুক্তির জন্য গণতান্ত্রিক ভাবে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পূর্বে কার্ড ভাগাভাগি হয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান এস এম রফিকুল ইসলাম কারান্তরিন থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পান্না। তিনি ও ইউপি সচিব মিলে মেম্বারদের সহযোগিতা নিয়ে এই কার্ড ভাগাভাগি করে সচিবকে ৩টি, প্রত্যেক মেম্বার ১৭টি, গ্রাম পুলিশ ও দফাদার ১০ জনে ১০টি, তথ্য সেবা কেন্দ্রের রবিউল ইসলাম ১টি, গ্রাম আদালত সহায়তাকারী মুনছুর ১টি, রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ৮৬টিসহ মোট ৩৩০টি কার্ড ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দেড় শত টাকা করে কার্ড বাবদ আদায়ের বাইরে কার্ডধারীর তালিকাভুক্তির জন্য টাকা লেনেদেনের অভিযোগ এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ভাবে আলোচিত হচ্ছে। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ সকল কার্যক্রমে সচিবকে নিয়মিত টাকা প্রদান করতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সকল প্রকার বরাদ্দের কাজেও তার বড় অঙ্কের ভাগ দিতে হয় বলে জানাগেছে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পান্না বলেন, ইউনিয়নে সুষ্ঠ ভাবে কার্ড বন্টন হয়েছে। অন লাইন করার জন্য সচিব ১৫০ টাকা করে নিয়েছে বলে আমি জানি।
ইউপি সচিব সিরাজুর রহমান বলেন, চৌকিদার, দফাদার, তথ্য সেবা ও গ্রাম আদালত সহায়তাকারীকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। আমি কোন কার্ড নেইনি। প্রতি অন লাইন করাতে বাশদহা গ্রামের ফারুক নামে একজনকে ১০০ টাকা করে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, অন লাইন করাতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি জানিনা, যদি সত্য হয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।