
আসাদুজ্জামান ও ইব্রাহিম খলিল :
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোলায় বৈরী আবহায়ার মধ্যে প্রবল জোয়ারের চাপে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাধ ভেঙে ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় এক হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এতে দেড় হাজার বিঘা মৎস্যঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
রোববার ভোররাতে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের ৪ নং পোল্ডারের কাছে কপোতাক্ষ নদের প্রায় দুই’শ ফুট বেড়িবাধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা, হিজলিয়া ও শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা, হাজরাখালি, লাঙ্গলদাড়ি ও কলিামাখালি গ্রাম প্লাবিত হয়।
স্থানীয় ওয়াজেদ গাজী, সঞ্জয় দাশ, জহুরুল ইসলাম ও ছাইফুল্লাহসহ একাধিক লোক জানান, বাধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ভোর রাতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে হঠাৎ করেই বাধ নদী গর্ভে ধসে পড়ে। এতে ছয়টি গ্রামের প্রায় এক হাজর পরিবার পানি বন্দী ও দেড় হাজার বিঘা মৎস্য ঘের এবং ফসলি জমি প্লাবিত হয়।
তারা আরো জানান, এখন ভাটা চলছে। সকাল থেকে স্থানীয় দুই ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এলাকার সহ¯্রাধিক লোকজন বাশ ও মাটি দিয়ে বেড়িবাধটি সংস্কারের চেষ্টা করছেন।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলাতির কারণেই প্রতাপনগর ইউনিয়নবাসীর এই দুর্দশা। বারবার বলা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুঁকিপূর্ণ বাধ সংস্কারে কোজ উদ্যোগ নেয়নি।
শ্রীউলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, প্রতাপনাগর ইউনিয়নের চেয়ে শ্রীউলা ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে বাধ সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। চলতি ভাটাতেই বাধ সংস্কার করতে না পারলে পুইজালা, শ্রীউলা, আশাশুনি সদর ও নাকতাড়া গ্রাম প্লাবিত হবে।
আশাশুনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস, ও আবুল হোসেন জানান, তিনি ঘটনা স্থলে আছেন। তিনি আরো জানান, তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।##