আশাশুনির চাকলায় কপোতাক্ষ নদের ভেড়িবাঁধ ধ্বসে একটি গ্রাম ও দুই’শ বিঘা চিংড়ি ঘের প্লাবিত


494 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
আশাশুনির চাকলায় কপোতাক্ষ নদের ভেড়িবাঁধ ধ্বসে  একটি গ্রাম ও দুই’শ বিঘা চিংড়ি ঘের প্লাবিত
আগস্ট ২, ২০১৫ আশাশুনি ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

আবুল কাশেম / গোপাল কুমার :
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার চাকলায় কপোতাক্ষ নদের প্রায় ২’শ ফুট ভেড়িবাঁধ প্রবল জোয়ারের  তোড়ে ভেঙ্গে একটি গ্রাম ও দুই’শ বিঘা মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে। শনিবার  রাত ১১টার দিকে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা গ্রামে এ ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের  নেতৃত্বে দুই শতাধিক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিকে ভেড়িবাঁধটি সংস্কার করলেও গভীর রাতে অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে তা ধ্বসে পড়ে। ফলে চাকলা গ্রামসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে । একই সাথে প্রায় আড়াই’শ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে । পানিতে ভেসে গেছে দুই’শ বিঘা মৎস্য ঘের। বাধটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে প্রতাপনগর ইউনিয়নের শূভাদ্রাকাটি, তালতলা, রুয়েরবিলসহ নতুন নতুন এলঅকা প্লাবিত হবে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর ঢালী জানান,রাতে প্রবল জোয়ারে চাকলা গ্রামের কপোতাক্ষ নদের ভেড়িবাধ ভেঙ্গে নদীগর্ভে ধসে পড়ার পর স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাধটি সংস্কার করলেও জোয়ারে তা আবারও ভেঙ্গে যায়। এতে চাকলা গ্রামের নি¤œাঞ্চল ও ২’শ বিঘা মৎস্য ঘেরসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ঘটনাস্থল থেকে ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকমকে জানান, কপোতাক্ষ নদের চাকলা পয়েন্টের বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার বলা সত্ত্বেও তারা সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় রাতে প্রায় ২শ ফুট এলাকা জুড়ে ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তিনি জানান, সেখানে দুই শতাধিক এলাকাবাসীদের নিয়ে রিং বাধটি শনিবার সকালের জোয়ারের আগে সংস্কার করা হলেও পরে জোয়ারের প্রবল চাপে তা আবারও ভেঙ্গে যায়।  রিং বাধটি সংস্কার করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। তিনি এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পাউবো কতৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।