
নাজমুল হক :
আশাশুনির চাকলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই ঠিকাদারের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চাকলায় কপোতাক্ষ নদের ভেড়িবাঁধের মেরামত পরিদর্শন করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার ঠিকাদারের দাবি, তাদের কাছে থাকা স্বর্ণের চেইন, আংটি ও লেবার পেমেন্ট এর ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় ওই ঠিকাদারের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। এদিকে, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানিয়েছেন, হামলার ঘটনা সঠিক নয়। দুই ঠিকাদার রোববার সকালে আশাশুনির ভাঙ্গন কবলিত চাকলা এলাকায় গেলে তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
হামলার শিকার হওয়া ঠিকাদার কামরুজ্জামান মন্টু জানান, আশাশুনি উপজেলার চাকলায় শনিবার গভীর রাতে কপোতাক্ষ নদের প্রায় ২০০ ফুট ভেড়িবাঁধ প্রবল জোয়ারের তোড়ে ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে তা সংস্কারের জন্য স্থানীয় মেম্বরের সহায়তায় রোববার সকাল থেকেই কাজ শুরু করে তারা। তিনি বলেন, আমরা যাওয়ার আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও তার রৈাকজন আমাদের লেবার দেখে ক্ষিপ্ত হয়। আমি ও আমার ব্যবসায়িক পার্টনার ঠিকাদার আজিজুল ইসলাম রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমদের মারধর করে। এ পর্যায়ে আমাদের কাছে থাকা লেবার পেমেন্ট ৫০ হাজার টাকা, অংটি ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের একটি তাড়িয়ে দেয়। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী, পাউবোর বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হমলার ঘটনা তিনি আমাদের জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ এখনও পায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, পাউবো কর্মকর্তাদের উপর হামলার অভিযোগ মিথ্যে। ভেড়িবাঁধ ঝুঁকিফূর্ণ হওয়ার বিষয়টি বার বার পাউবো কর্তপক্ষকে জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তারা এলাকাও পরিদর্শন করেনি। রোববার সকালে ভেড়িবাঁধ ধসে পড়ার পর তারা যখন ঘটনাস্থলে এসেছে তখন তাদের দেখে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে আমি তাদেরকে নিবৃত করি। মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়।
এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, পাউবো ঠিকাদাররা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। আমি শুনেছি তারা চাকলা এলাকায় গেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।