
গোপাল কুমার, আশাশুনি :
আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট-জেলেখালী ওয়াপদা বাঁধে ভয়াবহ ফাটল ধরেছে। পাউবোর কোন কর্মকর্তার হদিস নেই। বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় জনগণ স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেই চলেছে দীর্ঘ দিন। আতঙ্কিত এলাকাবাসি তাদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা বর্ষনে ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে আট ফুট রাস্তার মাত্র এক ফুেটর মত অবশিষ্ট আছে। সরেজমিনে এলাকাঘুরে দেখাগেছে, খোলপেটুয়া নদীর জেলেখালী-দয়ারঘাট ওয়াপদা ভেড়িবাঁধ টানা ভারী বর্ষণে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। সুন্দরবন হ্যাচারী সংলগ্ন এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ফাটল ও রাস্তা চুঁয়াইয়ে ভেতরে পানি আসতে থাকায় স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বিষয়টি যানা সত্তেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন ও করেননি। প্লাবনের আশংকায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ। পার্শ্ববতী লোকজন এ সময় এ প্রতিবেদনকে জানান দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগত জোয়ারে কি হবে সে কথা ভেবে স্থানীয় মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারেন পাউবো’র ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের শেষ নেই। ১৯৯৫ সাল থেকে পাউবো ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে জমি বাদ দিতে দিতে রিং বাঁধ দেওয়ায় দয়ারঘাট ও জেলেখালী গ্রাম দুটি বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী রিং বাঁধের জমি দিতে দিতে তাদের শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে ফেলেছে। সামপ্রতি বাধঁ নির্মাণে স্থানীয় সাংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আ.ফ.ম রহুল হক, জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, নির্বাহী প্রকৌশলী এস,এম শহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক অতি দ্রুত বাঁধ সংস্কার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।এদিকে বাধ রক্ষার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম ৫০হাজার টাকা ও ইউপি চেয়ারম্যান ১শ পিচ বাধ ও ৫হাজার টাকা সহযোগিতা করেছেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা না থাকায় আতঙ্কিত উপজেলা বাসী ভীত সন্ত্রস্ত। ভুক্তভোগী এলাকাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাঁধটি মেরামত ও স্থায়ী সমাধানের জন্য আশু ব্যবস্থা নিতে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত , ২০০৯ সালের আইলায় উক্ত বাধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হওয়ার কথা ভুলতে না ভুলতেই আবারও বাঁধ ভাঙ্গা আতঙ্কে ভুগছে ভুক্তভোগিরা।