
গোপাল কুমার, আশাশুনি :
আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের তোয়ারডাঙ্গা ¯øুইজগেটের কপাট গত এক সপ্তাহ আগে থেকে নষ্ট হয়েগেছে। ওই এলাকার প্রায় ১০টি গ্রাম ও গ্রাম সংলগ্ন বিলের পানি নিস্কাশন একেবারেই বন্ধ হয়েগেছে। ফলে এলাকার প্রায় ১৫ হাজার একর জমির আমন ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। একাধিক চিংড়ি ঘের ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার বলার পরও তারা কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি বলে এলাকাবাসির অভিযোগ।এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তোয়ারডাঙ্গা গ্রামের মনিরুজ্জামান মোল্যা, অ্যাড: শহীদউল্লাহা (২), হারান ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হুদা এক লিখিত অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে জানায়, গত এক সপ্তাহ আগে তুয়াডাঙ্গা ¯øুইজ গেটের কপাট নষ্ট হয়ে যায়। নদীর জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করলেও ¯øইজ গেট দিয়ে পানি নিস্কাশন প্রায় বন্ধ হয়েগেছে।এই ¯øুইজগেট দিয়ে স্থানীয় তুয়ারঙ্গা, গদাইপুর, হেতালবুনিয়া,হেতালখালী,মুরারিকাটি,কদমতলা,ঘুঘুমারি,চার ঘরিয়াসহ আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রাম ও গ্রাম সংলগ্ন বিলের প্রায় ১৫ হাজার একর জমির পানি নিস্কাশন হয়ে থাকে। পানি নিস্কাশন না হওয়ায় এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আমন ধানের বীজ তলা পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পাউবো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ জরুরী ভিত্তিতে ¯øইজ গেটটি সংস্কার না করলে বিস্তিন্ন এলাকায় দেখা দেবে স্থায়ী জলাবদ্ধতা।বীজতলা নষ্ট হলে এলাকায় আমন ধান রোপন কার্যক্রম মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এ ব্যাপারে লিখিত আবেদন পাওয়ার পর জরুরী ভিত্তিতে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে ¯øইজগেটের কপাট সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকমকে জানান, বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন। তবে আমি ঈদের ছুটিতে থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারেনি। মঙ্গলবার অফিসে যোগদানের পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।