
এস,কে হাসান ::
আশাশুনি উপজেলার হাজীডাঙ্গা গ্রামের শাহাবুদ্দিন সরদার অপপ্রচার ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার বিকালে বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সুলতান সরদারের পুত্র শাহাবুদ্দিন লিখিত বক্তব্যে জানান, তারা কালাচাদ ঋষি, জবেদ আলি সানা ও প্রভাস দাশ ওরফে রিষির নিকট থেকে কোবালা দলিল মুলে পাইথালী মৌজায় ১.৭০ একর জমি ক্রয় করেন। ১৯৭৩ সাল থেকে তারা জমিতে দখল নিয়ে ভোগজাত করে আসছেন। সেখানেতার ভাই মহিরুদ্দিন ও ভাইপো শাহাজুদ্দিন প্রথমে কাচা ঘরবাড়ি ও পরে পাকা ঘরবাড়ি করে বসবাস করছেন। কিছুদিন আগে জমির সীমানার মধ্যে রঞ্জু ঋষির পুত্র তুষার দখল নিতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আবম মোছাদ্দেক সাহেবের উপস্থিতিতে মেম্বার মতিয়ার রহমান ও বিজন দে উভয় পক্ষকে নিয়ে কাগজপত্র দেখে জমি মাপজোকের ব্যবস্থা করেন। এবং আপোষে সীমানা নিদ্ধারণ করে দেন। তুষারদের সীমানায় তুষাররা ঘর বাধে ১৫/২০ দিন আগে। আর তাদের ভাই মহিউদ্দিনরা গত ৮ মার্চ তার সীমানায় রান্না ঘর বাধতে গেলে তুষাররা থানায় মিথ্যা অভিযোগ করলে পুলিশ উভয় পক্ষকে থানায় বসাবাসির জন্য ডাকেন। কিন্তু তারা ইউনিয়ন পরিষদের সিদ্ধান্ত অমান্য করার পরও থানায় বসাবসির আগেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। শাহাবুদ্দিন আরও বলেন, তাদের একটি মামলার প্রতিপক্ষ আনার ও গফফারের কুমন্ত্রণায় পড়েতারা মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানির চেষ্টা করছে। তারা আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তাদের নামে কোন নাশকতার মামলা না থাকলেও পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে তারা বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করে দিয়েছেন। তুষারদের কাগজপত্র না থাকলেও তারা সেখানে বসবাস করে বিধায় তাদের দখলীয় জমির সীমানা নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে। তার পরও তারা ভিন্নপথে হাটছে।
##