
গোপাল কুমার, আশাশুনি :
আশাশুনির বড়দল আফতাব উদ্দিন কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকবৃন্দ।
মঙ্গলবার সকালে অধ্যক্ষ ড. শিহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে অকারণে লাঠি দিয়ে ছাত্রদের মারপীট করে জখম করা, কোচিং বানিজ্য, এলাকার পানি নিস্কাশনে বাঁধা সৃষ্টি, স্কুলের পুকুরে গোসল করতে না দেয়া, মাঠের ঘাস ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এবং সহকারী শিক্ষক মোহাম্মাদ আলীর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অশালীন ভাষায় কটুক্তি করা ও ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের শিবির করতে উদ্বুদ্ধ করার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল স্কুল এলাকা থেকে শুরু হয়ে বড়দল বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল শেষে তারা স্কুলের সামনের সড়কে দীর্ঘ একটি মানববন্ধন করেন। মাবনবন্ধনে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রনি সানা জানান-সোমবার সে স্কুল ড্রেস পরে না আসায় অধ্যক্ষ তাকে বাঁশের চটা দিয়ে বেদম প্রহার করেন, ৮ম শ্রেণীর ছাত্র নাঈম সরদার জানায় সে পানি পান করতে টিউবওয়েলে গেলে অধ্যক্ষ তার পিঠে ৩টি লাঠি ভাঙ্গেন, নবম শ্রেণীর ছাত্র-কাজল সানাকে কয়েক দিন আগে মারপীট করে গুরুতর জখম করে।
অভিভাবক শুকুর আলী জানান-অধ্যক্ষ সর্বসাধারণের গোসল করার স্কুলের পুকুরটি তিনি ঘিরে বন্দ করেছেন। পুকুরের পাশ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথটিও তার কারণে বন্দ। স্কুলের মাঠের ঘাসও তিনি ২৫ টাকা বস্তা দরে বিক্রি করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ডলি বেগম জানান-দু’দিন আগে স্কুলের নলকূপে পানি পান করতে আসার অপরাধে অজ্ঞাতনামা এক মহিলাকে উক্ত অধ্যক্ষ কান ধরতে বাধ্য করেন। তার কোচিং বানিজ্যে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা অতিষ্ঠ। তাদের ৮টায় এসে ১ ঘন্টা কোচিং সেরে ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত স্কুল শেষে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিনা বিরতিতে কোচিং করতে হয়। কোচিং করলেও বাড়তি টাকা, না করলেও টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ করে ছাত্ররা।