
গোপাল কুমার, আশাশুনি ব্যুরো :
আশাশুনির বড়দলে ইট ভাটায় সরকারী নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে কাঠ পোড়ানোর মহোৎসবে মেতে উঠেছে ভাটা মালিকরা। সরেজমিনে ঘুরে ও তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, বড়দল বাজারের দক্ষিণ দিকে কপোতাক্ষ নদীর তীরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে অবৈধ অর্থে বিনিময়ে ভাটা মালিক সমিতি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা কাঠ পোড়ানোর দুঃসাহস যোগাচ্ছে। রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায় উপজেলার বড়দলে এএসএস ব্রিকস নামে একটি ভাটা ফিট চিমনি নয়, টিনের ব্যারেলের চিমনি ব্যবহার করে ইট পুড়িয়ে যাচ্ছে। আ’লীগ নামধারী মাষ্টার রবিউল ইসলাম। এসকল ভাটায় কয়লা আছে কিনা তা জানতে বলেন আছে, কিন্তু দেখতে চাইলে কেউই দেখাতে পারেনি। এই ইট ভাটায় পোড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে হাজার হাজার ঘনফুট কাঠ। পাশেই মান্নানের ভাটায় হাওয়া ভাটা থাকলেও পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। যার ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব আর ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র সহ পরিবেশ। তথ্যানুুসন্ধানে দেখা গেছে, এ এসএস ব্রিকস, একে এস ব্রিকস, সহ একাধিক ভাটা ঘুরে দেখা গেছে কাঠ পোড়ানোর প্রতিযোগীতায় মেতে উঠেছে পরিবেশ খেকোরা। একেএস ব্রিকস এর মালিক পাইকগাছা উপজেলার চাদখালী গ্রামের জামাত নেতা নজরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলে, সাংবাদিকদের চেনা আছে ঐ ছবিতে তাদের কিছুই হবে না। কাঠ পোড়ানোর জন্য ভাইয়ের অনুমতি আছে। কপোতাক্ষ নদীর দ’ুধারে ভাটায় কয়লা না রেখে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পরিবেশ বান্ধব ভাটা তৈরী না করেও সেখানে পোড়ানো হচ্ছে হাজার হাজার ঘনফুট ফলজ ও বনজ কাঠ। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যে কারণে ভাটা সংলগ্ন ৩ কিঃমিঃ এর মধ্যে অসংখ্য ঘরবাড়ি থাকলেও সেখানে ভাটা হওয়ায় ঐ এলাকাবাসী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচেছ। কাঠ পোড়ানোর ফলে ভাটার চিমনির কালো ধোয়া থেকে বের হচ্ছে মাত্রারিক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড। যার ফলে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে দারুণভাবে। এর প্রভাবে একদিকে যেমন কৃষির ক্ষতিসাধন হচ্ছে অপরদিকে মানবদেহে সৃষ্টি হচ্ছে জটিল ও কঠিন রোগ। বর্তমান সরকার অত্যন্ত দুর্যোগপ্রবণ এ দেশকে রক্ষার জন্য পরিবেশের উপর নানাবিধ ভূমিকা গ্রহণ করলেও তার একটুও কর্ণপাত করছে না ভাটা মালিক সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অবৈধ অর্থের কাছে দায়িত্ব বিকিয়ে দিয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করছে। সরকারের আইন অনুযায়ী এসকল ভাটা পরিচালিত হয় না। সেকারণে প্রত্যেকটি ভাটায় আইনের আওতায় এনে পরিবেশ বান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। এবিষয়ে এলাকার সুধীমহল সংষিøষ্ট কর্তৃপক্ষের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।