
এস,কে হাসান :
আশাশুনি উপজেলার স্রোতসিনী মরিচ্চাপ নদীর অবশিষ্টাংশে পলি জমতে জমতে মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভাটার সময় নদীর অধিকাংশ এলাকায় পায়ে হেটে নদী পারাপার হয়ে থাকে এলাকার মানুষ। আশাশুনি উপজেলা সদরের সামনে দিয়ে শোভনালী-ব্যাংদহা হয়ে এললারচর-সাতক্ষীরা পর্যন্ত এবং আশাশুনি থেকে খোলপেটুয়ার মুখ হয়ে চাপড়া-বুধহাটা-কুল্যা হয়ে বিনেরপোতা দিয়ে উত্তরমুখী বেতনা নদীর এক সময় ¯্রােত ছিল খুব দাপুটে। বেশ আগে থেকেই শোভনালীর উপরের দিকে এবং কুল্যা পার হয়ে সামনের দিকে নদীতে চর পড়তে শুরু করে। শোভনালীর উপরে প্রায় সম্পূর্ণভাবে ভরাট হয়ে যায় এবং কুল্যা-বিনেরপোতা পর্যন্ত কোন রকমে নদী প্রবাহমান ছিল। নদী শাসন, মৎস্য ঘের স্থাপন, অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন,অবৈধ বাঁধ নির্মানসহ নানান কারনে নদীর ¯্রােত প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে এসেছে। বর্তমানে আশাশুনির মুখে বালির চর এবং পুরো নদীতে অসংখ্য স্থানে বালির চর পড়েছে। আশাশুনি থেকে শোভনালী পর্যন্ত সবশেষ জোয়ারভাটা চালু থাকা নদীর অধিকাংশ ভরাট হয়ে গেছে। ভাটার সময় এ পথে নৌকা চলাচল সম্পূর্ণ বন্দ হয়ে গেছে। নদীর চর একের পর এক অবৈধ দখল,ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন এবং কোথাও কোথাও একসনা বন্দোবস্ত দেয়ায় সহসাই নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
শোভনালী-ব্যাংদহা এবং চাপড়া-বুধহাটা-কুল্যা এলাকায় নদীতে চর পড়লেই কেউ না কেউ দখলে নিয়ে নিচ্ছে। ফলে স্রোতের প্রবাহ কমতে কমতে নদীর বাকী অংশ দ্রুত পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। গুনাকরকাটি ব্রীজের কাছে, বাহাদুরপুর, নওয়াপাড়া, বাইনবশত, মহেশ্বরকাটি এলাকায় পলি জমার পরিমান আশংকা জনক ভাবে বেড়ে চলেছে।
এভাবে নদী শাসন, অবৈধ দখল, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন আর একসনা বন্দোবস্ত চলতে থাকলে এবং নদী খননের মাধ্যমে পলি অপসারণ না করা হলে আর কয়েক বছরের মধ্যেই বেতনা নদী মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছে।