
শেখ আসাদুজ্জামান মুকুল ,দরগাহপুর:
স্কুল মাঠে ক্লাস শুরুর পূর্বে ছেলেরা ক্রিকেট খেলছিল, একজন ছাত্র হটাৎ চার মারল, বলটি সোজা স্কুলের দুই বিল্ডিয়ের ফাঁকদিয়ে দরগাহপুর-সাতক্ষীরা সড়কে এসে পড়ল। ছাত্ররা বলটিকে খুজতে কোন চিন্তাভাবনা ছাড়াই সাথে সাথে দৌড়ে চলে এল রাস্তায়। সেইসময় রাস্তার একদিকদিয়ে বাস-মটরসাইকেল অন্যদিকে নছিমন আসছে মাঝামঝি গতিতে। ছাত্রদের হটাৎ রাস্তায় দেখে বাস, মটরসাইকেল ও নছিমন ড্রাইভার কড়া ব্রেক করল। আপাতত ড্রাইভারদের উপস্থিত বুদ্ধির কারণে ছাত্রগুলো বড় কোন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হাত থেকে বেচে গেল। হ্যা বলছিলাম আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়ানের দরগাহপুর সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের কথা। যেখানে প্রাইশই ছাত্র-ছাত্রীরা খেলতে খেলতে এইভাবে রাস্তায় চলে আসে।
১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি অত্র উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী ও লেখাপড়ার দিকদিয়ে কতোগুলো শীর্ষস্থানীয় বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। যার মাত্র ৫ ফুট দুরত্বে রয়েছ দরগাহপুর-সাতক্ষীরা সড়কটি এবং খোনে যানবহনের চাপ অত্যান্ত বেশি। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখ্যের বিষয় যে, মূল সড়কের গাঁঘেসে এই বিদ্যালয়ের কয়েকটি ক্লাস রুমের অবস্থান হলেও শতবর্ষী এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে কোনো সীমানা প্রাচীর এমনকি কোনো গেট নাই। ফলে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়টির বিভিন্ন সম্পদ বিশেষ করে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন। সীমানা প্রাচীর না থাকার কারণে প্রায়শই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। গত কয়েক বছরে এই বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী এই সড়কে মারাতœক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
এই ব্যাপারে কয়েকজন অভিভাবকের কাছে জানতে চাইলে তারা জনান যে , ছেলে-মেয়েরা যতক্ষন স্কুলে থাকে ততক্ষন তারা খুব টেনশনে থাকেন , কখন যে তারা রাস্তায় চলে আসবে আর দুর্ঘটনায় পতিত হবে। অভিভাবকরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মানের জোর দাবী জানিয়েছেন। এই ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুস সাত্তার বলেন যে, ২৫ বছর পূর্বে একটি সীমানা প্রাচীর তৈারি করা হলেও কালের আবর্তে সেগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে তিনি আরো বলেন যে, শিক্ষকরাও এ ব্যাপারে টেনশনে থাকেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে এই ব্যাপারে অবহিত করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ইদ্রিস আলী আমাদের জানিয়েছেন যে, “আমি দরগাহপুর স্কুলের ব্যাপারটি জানি ও সরেজমিন দেখেছি এবং সীমানা প্রাচীর নির্মানের জন্য প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সীমানা প্রাচীরের অনুমোদন হয়ে যাবে ”।