
এস,কে হাসান ঃ
আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটি টু শ্রীধরপুর সড়কের নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল (সোমবার) সকাল ৮ টায় নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করেন দরগাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান স এ এম জমির উদ্দিন।
দরগাহপুর ইউনিয়নের বৃহত্তর ওয়ার্ড এলাকা খরিয়াটি। খরিয়াটি, হোসেনপুর, ঝাবুনিয়া, শ্রীধরপুর গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষের দরগাহপুর ইউনিয়নের অন্য এলাকা এবং আশাশুনি উপজেলা সহ সাতক্ষীরা জেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম খরিয়াটি টু শ্রীধরপুর সড়ক। সড়কটি এই এলাকাবাসীর জন্য দুঃখ হিসাবে পরিগণিত। দীর্ঘ ২ কিঃমিঃ সড়কটি এই এলাকার মানুষসহ তালা উপজেলার হরিহরনগর, মুড়োগাছা, শাহপুর এবং পাইকগাছা উপজেলার মানুষও ব্যবহার করে থাকে। আশাশুনিসহ আশপাশের বহু মানুষ খুলনা ও তালা উপজেলা এলাকায় এই পথে যাওয়াত করে থাকে। সড়কটি সম্পূর্ণভাবে চলাচল অনুপযোগি হয়ে গিয়েছিল। ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় অবশেষে সড়কটি নির্মান কাজ করা হচ্ছে। রূপান্তর সিসিআরআইপি প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দে কার্পেটিং কাজ উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন, আ’লীগ নেতা জি এম আক্তারুজ্জামান, ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান, জি এম নজরুল ইসলাম, সমাজ সেবক শেখ মশিউর রহমান, মাষ্টার কাবিরুল ইসলাম, জয়নাল আবেদিন, আঃ রশিদ, জি এম আব্দুল্লাহ, ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও এলাকার সকল পেশার মানুষ। মোনাজাত পরিচালনা করেন অধ্যক্ষ মাওঃ আমিন উদ্দিন।
##
খাজরা স্কুলের নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঃ
সরেজমিন প্রতিবেদন
এস,কে হাসান ঃ আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা জানতে রবিবার দিনভর একদল সাংবাদিক বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয় এলাকা পরিদর্শন ও বিভিন্ন ভাবে তথ্য উদঘাটনে কাজ করেন। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিকে সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জি এম সাইদার রহমান ৮/১২/১৪ তারিখে স্কুলে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে স্কুলে কিছু পুরাতন অভ্যাস পরিবর্তন করার কাজে হাত দেন। এনিয়ে স্কুলের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও আরও অনেকের সাথে তার মতদ্বৈততার সৃষ্টি হয়। প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়েন তিনি। এরই রেশ এবং নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ ও ম্যানিজিং কমিটির সদস্য ও কয়েকজন শিক্ষকের ভাষ্যে জানাযায়, ৬/১/১৬ তাং সকালে প্রধান শিক্ষক এসএসসি পরীক্ষার্থী কাজল মন্ডলকে কুপ্রস্তাব দিয়ে তাকে তার কক্ষের ভিতরে নেয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি সে স্কুল শিক্ষিকা শরিফা নাসরিনকে জানায় এবং পরদিন স্কুল প্রাঙ্গনে প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন করা হয়। এব্যাপারে কাজল বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা (নং ৯) দায়ের করেছে।
সরেজমিনে গেলে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) আকুল কৃষ্ণ বাছাড়সহ অন্য শিক্ষকরা জানান, স্কুলের অফিস সহকারী নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রধান শিক্ষকের সাথে কমিটির অনেকের মতদ্বন্দ্ব শুরু হয়। স্কুলের সময় ১০-৪টা করায় শিক্ষক-কমিটি-কোন কোন অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের সাথে তার সম্পর্কের দূরুত্ব ঘটে। একমাস পূর্বে পরীক্ষার সময় খাতা বাধা নিয়ে তার আচরণে শিক্ষকরা অফিস ত্যাগ করে অন্য কক্ষে গিয়ে বসেন, অবশ্য পরে সহকারী প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এসব বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে দ্বদ্ব ছিল এবং সবশেষ স্কুল ছাত্রীর সাথে কুপ্রস্তাবের ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক শরিফা নাসরিন জানান, ঘটনার দিন সকাল ৭.৩০ টায় প্রধান শিক্ষক কাজলকে তার কক্ষে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেন এবং হাত ধরে টানেন বলে আমরা স্কুলে আসলে কাজল জানায়। বিষয়টি সহকারী প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সদস্য আনারুলকে বলি। তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেননি। পরদিন মানববন্ধন হয়। সেখানে পত্রিকায় বক্তব্য দিয়েছেন বলে যে সব শিক্ষকের নাম এসেছে কেবল শরিফা ব্যতিত কেউ বক্তব্য দেননি বলে শিক্ষকরা জানান। এরপর মামলা হয়েছে এবং ৯/১/১৬ তারিখে কমিটির জরুরী সভায় প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত এবং সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়। সহকারী প্রধান শিক্ষক বলেন, জরুরী সভার কোন নোটিশ করা হয়নি, কে সভা আহবান করেছেন তারও সুস্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি। এছাড়া তদন্ত কমিটি গঠন, শিক্ষককে শো-কজ করা হয়নি বলে জানান। শিক্ষক হাজিরা খাতায় অপর পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর করান হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম সুলতান মাহমুদ স্কুল অফিস কক্ষে সকল শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির দু’জন সদস্য, সাংবাদিকসহ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে তাদের সাথে সরকারি নীতিমালা নিয়ে কথা বলেন। তাদের কাছ থেকে লিখিত প্রশ্নের উত্তর প্রহণ করেন। শিক্ষকরা লিখিত ৭টি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন এবং মানববন্ধনে তারা বক্তব্য দিয়েছেন মর্মে পত্রিকায় সংবাদের ব্যাপারে তাদের মতামত গ্রহণ করেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিপ্লব কুমার দাশ জানান, ঘটনার কথা শুনে স্কুলে যাই, শিক্ষক-অভিভাবক ও বাদীর মুখে শুনে সত্যতা প্রমানিত হয়। পরদিন মানববন্ধন হয় এবং ছাত্রী থানায় মামলা দায়ের করে। থানায় ওসি, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও কমিটির সদস্যদের সামনে মেয়েটি তার অভিযোগের বর্ননা দেয়। তখন শিক্ষা অফিসার ওসি সাহেবকে বলেন, মামলা নেয়া তার ব্যাপার তবে তিনি দাপ্তরিকভাবে স্কুলে গিয়ে তদন্ত করবেন বলে জানান। কিন্তু কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি গোপনে রবিবার তদন্ত করেছেন, সেখানে শিক্ষকদের মোবাইল বন্দ রাখতে বলা, মানববন্ধনে যাওয়া ও বরখাস্ত করার ঘটনা নিয়ে হুমকী-ধামকী দিয়েছেন বলে সভাপাতি অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি স্কুলে যোগদানের পর নিয়ম শৃংখলা রক্ষা ও উপস্থিতিবৃদ্ধিতে গ্রুপিং মেন্টারিং পদ্ধতিতে ক্লাশ পরিচালনা, টাইমমত মাইকের সাহায্যে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, ১০-৪ টা স্কুল পরিচালনা, শিক্ষকদের উপস্থিতিতে কঠোরতা অবলম্বন, ১০ টার পরে স্কুল গেট বন্ধ করা, ক্যাশখাতা ঠিকমত লেখা, প্রাইভেট পড়ানো বন্দ করা, পাদটীকা, ডায়রি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করি। এছাড়া উন্নয়নমূলক বহু কার্যক্রম নেই। এতে শিক্ষক ও কমিটির সাথে তার দ্বদ্ব শুরু হয়। অফিস সহকারী নিয়োগ বন্দ নিয়ে দ্বন্দ্বের নতুন মাত্রা নেয় এবং সবশেষে নারী কেলেঙ্কারীর অজুহাত খাড়া করে আজকের অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি বলেন, মেয়েটির বিরুদ্ধে অনেক দিন থেকে অভিযোগ ছিল। সে স্কুলে এসে বই রেখে বাইরে চলে যেত, ক্লাশ চলাকালীন কোন কোন দিন এসে হাজির হত। ৬ তাং সকালে আমি কক্ষের সামনে বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলাম। সেখানে কাঠ মিস্ত্রী কাজ করছিল। পাশে ঝাড়–দার ঝাড়– দিচ্ছিল এবং মিস্ত্রির সহযোগিও ছিল। তাদের সামনে মেয়েটিকে ডেকে বারান্দার নিচে দাড়ানো অবস্থায় তাকে প্রতিদিন বই রেখে বাইরে যাওয়া, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলি এবং তার স্বামী আছে, সে কেন এভাবে চলে—ইত্যাদি উপদেশ মূলক কথা বলি। প্রতিপক্ষ বিষয়টিকে রঙ মাখিয়ে ও সাজিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান, পত্রপত্রিকায় বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি এবং উদ্ভুত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে তিনি স্কুলে গিয়েছিলেন। এবং সবার সামনে খোলামেলাভাবে সবকিছু করা হয়েছে। স্কুল সরকারি নিয়মনীতি মত চলে থাকে। স্কুলের লেখাপড়ার ক্ষতি সাধন না হয়, সরকারী নীতিমালায় স্কুল পরিচালিত হয়, শান্তিশৃংখলা বজায় থাকে, নতুন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেব্যাপারে উপস্থিত সকলকে আহবান জানিয়েছিলেন।
##
আশাশুনিতে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন
এস,কে হাসান ঃ আশাশুনি উপজেলার কুল্যা মোটরসাইকেল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার কুল্যার মোড়ে মটরসাইকেল গ্যারেজ সংলগ্ন ময়দানে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুনাকরকাটি খায়রিয়া আজিজিয়া কামিল মাদ্রাসার মুফতি মাওঃ রবিউল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন জিফুলবাড়ী আলিয়া মাদ্রাসা মুফতি মাওঃ মোঃ নজরুল ইসলাম। দ্বিতীয় বক্তা ছিলেন মাওঃ আব্দুল কুদ্দস। তিত্বীয় বক্তা ছিলেন হাফেজ মাওঃ মোঃ মাহমুদুল হক। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব মোঃ দিদারুল ইসলাম, মাওঃ ওবাইদুল হক, সমাজ সেবক ইবাদুল হক, মোটরসাইকেল সমিতির সভাপতি নাসির আহম্মেদ, রমজান আলী, মেম্বর প্রার্থী মিকাইল ইসলাম এবং মোটরসাইকেল এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ। তাবারক বিতরনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
##
আশাশুনির কাদাকাটিতে মৎস্যজীবি সমিতির
সাধারণ সভা
এস,কে হাসান ঃ আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার কাদাকাটি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর নিজস্ব কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমিতির সভাপতি হাফিজুল সরদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা সমবায় অফিসার জি এম আনছার উল আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যজীবি, উপজাতি ও হতদরিদ্র উন্নয়ন সোসাইটীর চেয়ারম্যান শিবপদ মন্ডল। এসময় কাদাকাটি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সেক্রেটারী আবুল কালাম, সদস্য আব্দুল হান্নান, বাশার মালী, কামাল উদ্দীন, হাফিজুল ইসলাম, আনারুল গাজী, আবুল খায়ের, নজরুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, সুমন কিবরিয়া, মিয়াজান, নিরাঞ্জন কুমার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।