
এস কে হাসান,আশাশুনিঃ
আশাশুনিতে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় একই পরিবারের ৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। এক শিশু মারা গেছে। অন্যদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের পুরোহিতপুর গ্রামের মৃতঃ ঝড়– সরদারের পুত্র মাজেদ সরদারের বাড়ির লোকজন শুক্রবার সকালে ভাত খাওয়ার পর বেলা ১০ টার দিকে প্রথমে তাদের পেটের পীড়া শুরু হয়। পাতলা পায়খানা ও পেট ব্যাথা শুরু হলে একে একে পরিবারের সকল সদস্য আক্রান্ত হয়। সন্ধ্যার পর থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে স্থানীয় চিকিৎসদের চিকিৎসা নেয় তারা। কিন্তু উন্নতি না হওয়ায় শনিবার সকালে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পথিমধ্যে আমজেদ আলীর কন্যা তানিয়া (সাড়ে ৪ বছর) মারা যায়। হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তরা হলো, ঝড়– সরদারের পুত্র মাজেদ, মাজেদের পুত্র আমজেদ (৪০), আমজেদের স্ত্রী তানজিলা (৩৫), মিঠুর স্ত্রী সোনিয়া (আমজেদের কন্যা), আমজেদের আরেক কন্য জনি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাস চন্দ্র সরদার জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।###
আশাশুনিতে মাতৃত্বকাল ভাতা ভোগিদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
এস কে হাসানা,আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগিদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। (শনিবার) সকাল ১০ টায় কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আশাশুনির সার্বিক সহযোগিতায় এনজিও মৌমাছির আয়োজনে অনুষ্ঠানে কুল্যা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুরাতন ২৭ ও নতুন ৩১ মোট ৫৮ জন মা’য়ের মধ্যে ৫২ জন উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমা ব্যানার্জী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, আশাশুনি এডিপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর এডিপি ম্যানেজার প্রকাশ চাম্বুগং ও মৌমাছি পরিচালক সুশান্ত মল্লিক। অনুষ্ঠানে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা, গর্ভকালীন, প্রসব কালীন ও প্রসব পরবর্তী মা ও শিশুর জন্য করনীয়তা, সরকারের ভাতা প্রদানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
কাদাকাটিতে হনুমান ও কুকুরের তাড়ার অতিষ্ট
এস কে হাসান আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে আগত ৫ হনুমান কুকুরের জালাতনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
কেশবপুর-মনিরামপুর বা অন্য কোথাও থেকে ১টি বাচ্চাসহ ৫ হনুমান কাদাকাটি ইউনিয়নে কয়েকদিন যাবৎ এসেছে। মায়ের বুকের নিচে জাপটে ধরে বাচ্চাটা থাকলেও মাসহ বাকী হনুমানগুলোকে ৫/৬ টি কুকুর পিছু নিয়ে তাড়িয়ে ফিরছে। হনুমানগুলো মানুষের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছে।
মানুষ কিছু খেতে দিলে খাওয়াসহ একেবারে পোষা প্রাণির ন্যায় আশেপাশে, ঘরের চালে, গাছের ডালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দলবেধে বেড়ানো হনুমানগুলোকে দেখতে যেমন ভাল লাগছে, তেমনি মানুষও দলবেধে তাদের দেখতে থাকায় পরিবেশ আনন্দমুখর হয়ে উঠছে। তবে ৫/৬টি কুকুর তাদেরকে নিরিবিলি ও শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেনা। নিচে নামলে তাড়া করছে, বাধ্য হয়ে গাছে উঠছে কিন্তু সেখানেও সস্তি নেই। কুকুর গাছ বেয়ে তাদের কাছে যাওয়ার কসরত করছে। যদিও বেশী উপরে কুকুর উঠতে পারছে না, তবু তারা গাছের নিচে ও গাছের কিছু উপরে উঠে ডাকাডাকি ও হুমকী দিতে কমতি করছে না। গতকাল দিনভর হনুমানগুলো তেতুলিয়া, ঝিকরা, মিত্র তেতুলিয়াসহ আশপাশের গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছে।