
অনলাইন ডেস্ক :
ইরাকের নাইনভে প্রদেশের নিরাপত্তা প্রধান মোহাম্মেদ আল-বাইয়াতি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধে আইএস আটক ও হত্যার যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে রোববারের এই হত্যাকাণ্ড এবং অপহরণের ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা।
নাইনভের প্রাদেশিক রাজধানী মসুলের সিটি হলের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে ১৫ কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করার লক্ষ্যেই প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
বাইয়াতি বলেন, হত্যার পর নিহতদের লাশ শহরটির মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরো বলেন, আইএসের যোদ্ধারা তাদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারী নির্বাচন কমিশনের চাকুরে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরও গণহারে গ্রেপ্তার করছে।
জানা গেছে, মসুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চার শিক্ষার্থীকে রোববার সকালে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করে আইএস। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ‘ইসলামিক রাষ্ট্রের’ ছবি প্রকাশ করছে এবং বিদেশি গণমাধ্যমকে সহযোগিতা করছে।
ওই শিক্ষার্থীরা তাদের ফেইসবুক পাতায় মসুলের ছবি প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর ওই চার শিক্ষার্থীকে শহরটির দক্ষিণাঞ্চলে স্থাপিত আইএসের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আইএস জঙ্গিদের স্থাপিত ট্রাইব্যুনালে বিদেশি গণমাধ্যমকে সহয়তার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
২০১৪ সালের ১০ জুন আইএস জঙ্গিরা মসুল দখল করার পর শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে মানবাধিকারকর্মী, পদার্থবিদ, সাংবাদিক, সেনা এবং পুলিশও রয়েছেন।
২০১৪ সালে জুনের শেষ দিকে আইএস সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ অংশকে ইসলামিক রাষ্ট্র (খিলাফত) ঘোষণা করে।