
ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম ডেস্ক :
প্রথমবারের মতো চালু হওয়া ই-হজ সিস্টেমে অনভিজ্ঞতার ফলে হজযাত্রীদের ভিসা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। অনভিজ্ঞতার ফলে ঠিকমতো তথ্য না দিতে পারায় আটকে যাচ্ছে অনেকের ভিসা। এমনকি সরকারিভাবে যারা আবেদন করেছেন তথ্য ঘাটতির কারণে তাদেরও অনেকের ভিসা আটকে যাচ্ছে।
হজ অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হজ অফিসের পরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, ই-হজ সিস্টেমে সামান্য তথ্যের ঘাটতি থাকলেই মেশিনে গ্রিন সিগনাল আসছে না। আর গ্রিন সিগনাল না আসলে সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় ভিসাও দিচ্ছে না। তথ্য ঘাটতি থাকলে কে সরকারিভাবে আবেদন করেছে বা কে বৈধভাবে আবেদন করেছে তা দেখা হচ্ছে না, ফলে ভিসা আটকে যাচ্ছে।
এবারই প্রথম সরকারি ভিসায় গমনেচ্ছুদের ভিসা নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, গত বছর ই-হজ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও সিস্টেমে জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ফিরে আসতে হয়। এবারই প্রথম পুরোপুরিভাবে ইলেকট্রনিক সিস্টেম চালু হয়। তাই ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা গত বছর ম্যানুয়ালি ঠিক করা গেলেও এবার আর সে সুযোগ আপাতত নেই। ফলে শেষ পর্যন্ত অনেকের হজে না যেতে পারার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
হজ অফিসের পরিচালক আরও জানান, ম্যানুয়াল সিস্টেমে আবেদনে কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে তা সংশোধনের সুযোগ ছিল। কারণ সরাসরি আবেদন করা যেত। কিন্তু এবার আর সে সুযোগ নেই। আমাদের পাঠানো আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে যাচ্ছে হজ মন্ত্রণালয়ে। হজ মন্ত্রণালয় আবার সে তথ্য মেশিনে যাচাই বাছাই করছে। আর মেশিন যদি গ্রিন সিগনাল না দেয় তাহলে তারা ভিসা দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কে বৈধভাবে বা কে অবৈধভাবে আবেদন করেছেন তা দেখার সুযোগ থাকছে না। ভিসা সরাসরি বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
গ্রিন সিগনাল না আসার কারণ জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, কতজন হজযাত্রী যাচ্ছে, কোন প্লেনে যাচ্ছে, তাদের গাইড কারা, কাকে কোন বাসায় রাখা হবে, সেই বাসা থেকে কোন বাসে তাদের মিনায় নিয়ে যাওয়া হবে, মিনা থেকে মদিনায় কিভাবে নেওয়া হবে এসব তথ্য চাচ্ছে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়। এসবের একটিতেও ত্রুটি থাকলে বা অসম্পূর্ণ থাকলে গ্রিন সিগনাল আসছে না।
এসব জটিলতার পেছনে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া ই-হজ সিস্টেমে অনভিজ্ঞতাকেই দায়ী করলেন ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
তবে শেষ পর্যন্ত যাতে ভিসার আবেদনকারী সবার ভিসা নিশ্চিত করা যায় সে জন্য ইতোমধ্যে সরকারের গঠিত একটি কমিটি কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, হজের ভিসার জন্য এবার সরকারিভাবে ২ হাজার ৭শ’ ৫৪ জন এবং বেসরকারিভাবে ৯৯ হাজার ৪ জন আবেদন করেছেন।
রোববার (১৬ আগস্ট) সকালে ৮টা ৩৫ মিনিটে চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাচ্ছে। হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন সেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
প্রথম দিনে দুই ফ্লাইটে ৪শ’ ১৯ জন করে মোট ৮শ’ ৩৮ জনের যাওয়ার কথা রয়েছে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাধারণ হজযাত্রীদের জন্য মোট ৭টি ফ্লাইট এবং ভিআইপি হজযাত্রীদের জন্য আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ছেড়ে যাবে সর্বশেষ প্লেন।