
নাজমুল আলম মুন্না ::
জাহানারা (৪৫) ও জামিলা (৪০) ২ বোন জন্মান্ধ হওয়ার ফলে তারা আজীবন ভিক্ষুক। ভিক্ষা করাই তাদের পেশা এবং কাজ। এছাড়া যে তাদের সংসার চলেনা, হয়না খাওয়া- পরা। এভাবে কথা বলছিল ভিক্ষা করতে আসা সদরের আগরদাড়ী ইউনিয়নের ইন্দিরা গ্রামের বামন পাড়ার জাহানারা ও তার বোন জামিলা এরা প্রতি বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন যায়গায় মানুষের দারে দারে হাত পেতে জীবিকা বির্বাহ করে।
জাহানারা বলেন আমার ২ ছেলে ১ মেয়ে এবং জামিলার ১ ছেলে ১ মেয়ে তারা সবাই বড় হয়ে আলাদা থাকে একমাত্র শিশু সন্তান ইমরানই আমাদের ভরসা। গতবছর ইমরান শিশু ওয়ান থেকে বড় ওয়ানে উঠিছে সরকার কিছু দিলি ছোট ছেলে ইমরানকে (৮) স্কুলে, মাদ্রাসায় অথবা এতিমখানায় পড়তি দিতাম। ওরে তো লেখা পড়া করাতি পারতিছিনে এখন তো ওর জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের ২ বোনকে নিয়ে সারাদিন ভিক্ষা করতে হচ্ছে হাত ধরে নিয়ে চলতে হচ্ছে আমরা যিহানে যাচ্ছি তার যাতি হ”্ছে সাথে আমরা যে অন্ধ। আমরা সরকারের দেওয়া সব সুবিধা চাই। ৬/৭ মাস আগে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা একবার নাম ঠিকানা লিখে নিয়ে গেলো এবং বাড়ীর ছবি তুলে নিয়ে গেলো কিন্তু এখনও কিছু পালাম না। বুঝতি পারিতিছিনে কি হবে নে । আমাদের সরকারের কাছে দাবি আমাদের থাকার কোন ঘর নেই যেটা আছে সেটায় থাকা যায়না দেয়াল নেই চাল নেই। তাই সরকার যদি আমাদের একটি থাকার ঘর এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করে তাহলি আর মানুষের দুয়ারে হাত পাতবোনা বা ভিক্ষা করতাম না।