
ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম ডেস্ক :
দেশজুড়ে একই দিনে ৫৫ জনের শিরশ্চেদ করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও যেকোনো শুক্রবার জুমার নামাজের পর এটি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দণ্ডিদের মধ্যে তিনজন কিশোর বয়সে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তারাসহ ছয় সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের সবার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে সৌদি আরব।
দেশটির এমন তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। শুত্রক্রবার সৌদি আরবের শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভও হয়েছে। খবর এএফপি, ইনডিপেন্ডেন্ট ও বিবিসি অনলাইনের।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা ওই সৌদি নাগরিকদের মধ্যে দেশটির শিয়া নেতা শেখ আল নিমরের ভাতিজা আলি আল-নিমরও রয়েছেন। সতেরো বছর বয়সে গ্রেফতার করা হলেও সর্বোচ্চ দণ্ড দেওয়ার সময় তার বয়স বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ২০১১-১২ সালে সৌদি রাজতন্ত্র উৎখাতের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। দণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে আলি আল নিমরসহ অন্তত সাতজন সৌদি আরবের সংখ্যালঘু শিয়া মতাবলম্বী। তারা তেলসমৃদ্ধ ইস্টার্ন প্রভিন্স প্রদেশের আল আওয়ামিয়াহ এলাকার বাসিন্দা। সুন্নি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের শিয়াদের বৈষম্য ও অবিচারের বহু পুরনো অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে প্রায়শই বিক্ষোভ হয় ওই প্রদেশে। ২০১১ সালে সৌদি রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে যে শিয়া আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার কেন্দ্রে ছিল এই শহর।
চলতি বছর এ পর্যন্ত অন্তত ১৫১ জনের শিরশ্চেদ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। যা ১৯৯৫ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালে ৯০ জনের শিরশ্চেদ করেছিল দেশটি। তবে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে এই প্রথম শিরশ্চেদ করতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশটি।