কপিলমুনিতে কপোতাক্ষ ব্রীজের কাজ বন্ধ হওয়ায় সরকারের প্রায় আড়াই কোটি টাকার অপচয়


567 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
কপিলমুনিতে কপোতাক্ষ ব্রীজের কাজ বন্ধ হওয়ায় সরকারের প্রায় আড়াই কোটি টাকার অপচয়
এপ্রিল ১, ২০১৮ খুলনা বিভাগ ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

এস,এম, আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা ::
খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনি বাজারের পাশে নির্মাণাধীন কপোতাক্ষ ব্রীজের কাজ মামলা ও সময়ক্ষেপণের কারণে বন্ধ হওয়ায় সরকারের প্রায় আড়াই কোটি টাকার অপচয় হয়েছে। ১৭ বছরেও ব্রীজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। উপজেলার বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি, যা বিনোদগঞ্জ হিসেবে পরিচিত। দেশ বিদেশের বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা নদী ও সড়ক পথে এ গঞ্জে বিকি-কিনি করে থাকে। নদের এক প্রান্তে সাতক্ষীরা জেলা, অপর প্রান্তে খুলনা জেলার সীমান্ত। গুরুত্ব ও দূরত্ব ভেবে ২০০০ সালে তৎকালীন সরকার কপিলমুনি, কানাইদিয়া ঘাট এলাকায় ব্রীজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় বরাদ্দ হয় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার ৯১৯ টাকা ৫৫ পয়সা। ঐ সালের এপ্রিল মাসে কাজ শুরু হয়। কাজের মান উন্নয়নে সরকার আরো টাকা বৃদ্ধি করে মোট ২ কোটি ৩৬ টাকা বরাদ্দ দেয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এন. হক এসোসিয়েট ২০০৩ সালে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত কাজ করে আইএফআইসি ব্যাংক, খুলনা থেকে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭২২ টাকা তুলে কাজ বন্ধ করে দেন। এদিকে, খুলনা মহানগর হাকীম আদালতে ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে পি. নং- ৫৮/২০০৬, ধারা- ৪০৬/ ৪২০/ ১০৯/৩৪ মামলা হয়। এ মামলা ও সময়ক্ষেপণের কারণে ব্রীজ নির্মাণের কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে ইসলাম গ্রুপ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুনরায় কাজটি করার দায়িত্ব পেলেও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ব্রীজ নির্মিত হলে কপোতাক্ষ নদের স্রোত বাঁধাগ্রস্থ হয়ে দ্রুত ভরাট হয়ে যাবে-এ মর্মে চিঠি প্রদান করে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ কাজটি বন্ধের নির্দেশ দিলে স্থায়ীভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া ১৭ বছরের যাবৎ ব্রীজের কাজ বন্ধ থাকায় এর জন্য অধিগ্রহণ করা জমি মালিকরা অনেকেই তাদের প্রাপ্য টাকা পায়নি বলে জানা গেছে। ন্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে জানতে চাইলে অনেকেই জানান, কপিলমুনি একটি বাণিজ্যিক বন্দর। কপিলমুনি, কানাইদিয়া ব্রীজটি হলে একদিকে যেমন দূরত্ব কমবে ও এলাকার উন্নয়ন ঘটবে। কালক্রমে, কপোতাক্ষ নদের দ্রুত ভরাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে সরকার ২শ কোটি টাকা ব্যয় করে খননের মাধ্যমে নদে স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এমতাবস্থায় দুই জেলার লোকদের সুবিধার্থে দ্রুতমত সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত ব্রীজটি সম্পন্ন করার জোর দাবী উঠেছে।