
পলাশ কর্মকার, কপিলমুনি :
খুলনা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে অপচিকিৎসা হচ্ছে। ওটি বর্তমানে কসাইখানাতে পরিণত হয়েছে। কপিলমুনি বণিক সমিতির সভাপতি এম বুলবুল আহম্মেদ বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসার জন্য ভর্ত্তি হন। ডাঃ বাহাউদ্দীন মালিক তার চোখে ছানি অপারেশনসহ লেন্স স্থাপন করেন। চিকিৎসার এক পর্যায়ে বুলবুল আহম্মেদের চোখে ইনজেকশন করা হয়, এরপর থেকে তিনি ওই চোখে আর দেখতে পান না। ভারতের বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেছেন তার চোখ চিরদিনের জন্য নষ্ট হয়ে গেছে। বক্তারা আরো বলেন, আমরা উক্ত চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তার-নার্স ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারের কর্তৃপক্ষের নিকট আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনসহ হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করার দাবী জানাই।
সোমবার দুপুর ১২ টায় খুলনার কপিলমুনি বাজারের প্রধান সড়কে প্রায় ৪হাজার প্রতিবাদী মানুষের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও পথসভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। কপিলমুনি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি যুগোল কিশোর দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থী এম বুলবুল আহম্মেদ, কপিলমুনি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডল, কপিলমুনি জাফর আউলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ আব্দুস সাত্তার, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দির স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হরেকৃষ্ণ দাশ, অধ্যাপক রেজাউল করিম, মেহেরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অজিয়ার রহমান, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের আহবায়ক মুন্সি রেজাউল করিম মহব্বত, সাবেক সভাপতি জি এম হেদায়েত আলী টুকু, কপিলমুনি সিটি প্রেসক্লাবের সাঃ সম্পাদক পলাশ কর্মকার, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মিজানুর রহমান, প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাধন ভদ্র, রামপ্রসাধ পাল, মানিকলাল সিংহ, সাংবাদিক এস এম আব্দুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক রাজু, এইচ এম শফিউল ইসলাম প্রমুখ।