
পলাশ কর্মকার, কপিলমুনি ::
আধুনিক কপিলমুনির স্থপতি স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু ছিলেন এলাকার শ্রেষ্ঠ দানবীর। মাত্র ৪৫ বছরের কর্ম জীবনে তিনি নিরলসভাবে জন কল্যাণে কাজ করেছেন। তাঁর জন্ম না হলেন কপিলমুনি একটি উন্নত ও প্রসিদ্ধ বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে গড়ে উঠতো না। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে রায় সাহেবের ১৩৩ তম জন্ম জয়ন্তী ও তাঁর পৌত্র শ্রী গৌতম সাধু’র সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা-৬ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যেখানে গুনীজনের কদর বা মূল্যায়ন নেই সেখানে গুনী জন্মায় না। তাই নতুন প্রজন্মকে বলবো গুণীদের মূল্যায়ন করতে হবে।
কপিলমুনি বিনোদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি এড. দিপংকর সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন ভারত থেকে আগত রায় সাহেবের পৌত্র গৌতম সাধু। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন বুলু, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক পাপ্পু কুমার দে, ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার, ৩ নং লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস, অধ্যক্ষ হাবিবুল্যাহ বাহার, প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির আহম্মেদ, প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আখতার শম্পা, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সহ-সভাপতি চম্পক পাল, এড. বিপ্লব কান্তি মন্ডল, গাজী আঃ রাজ্জাক রাজু, তানজিম মোস্তাফিজ বাচ্চু প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এ কে এম সাঈদ হোসেন ও এস এম মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ। অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে রায় সাহেবের পৌত্র গৌতম সাধুকে বিনোদ স্মৃতি পদক দেওয়া হয়। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি ও সংবর্ধিত অতিথি ১৩৩ পাউন্ড কেক কাটেন। দুপুরে কপিলমুনির ৩ টি স্থানে ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর আগে গৌতম সাধু’র ভারত থেকে কপিলমুনিতে শুভাগমন উপলক্ষে তাঁকে বরন করতে বিনোদ স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে কপিলমুনিতে পৌছালে বিনোদ স্মৃতি সংসদ ও গুণীজন স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।