করোনায় হতাশা ও উদ্বেগের শিকার বিশ্বের অর্ধেক তরুণ-তরুণী


378 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
করোনায় হতাশা ও উদ্বেগের শিকার বিশ্বের অর্ধেক তরুণ-তরুণী
আগস্ট ১২, ২০২০ জাতীয় ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

অনলাইন ডেস্ক ::

মহামারি করোনাভাইরাস একদিকে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে, অন্য দিকে আক্রান্ত করছে মনকেও। করোনার সময়ে বিশ্বের অর্ধেক তরুণ-তরুণী উদ্বেগ ও হতাশায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার প্রভাব নিয়ে বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের চালানো এক জরিপে এমনটিই উঠে এসেছে।

তাই তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘের শ্রম সংস্থা-আইএলও। খবর এনডিটিভির।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা- আইএলও ‘তরুণ সমাজ ও কেভিড-১৯: শিক্ষা, অধিকার, চাকরি ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব’ শীর্ষক জরিপ চালায়। এতে দেখা যায়, করোনা মহামারির মধ্যে বিশ্বে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রতি দুই জনে একজন হতাশাগ্রস্ত ও উদ্বেগের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া এক-তৃতীয়াংশের বেশি ভবিষ্যত ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত।

আইএলও’র মঙ্গলবার প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, ‘কভিড-১৯ মহামারি জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করেছে। তরুণ প্রজন্মের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে যদি জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তবে তরুণ প্রজন্মের ওপর ভয়ানক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে।’

আইএলও’র জরিপের লক্ষ্য ছিল, মহামারির প্রাদুর্ভাবে যুব সমাজ বিশেষ করে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের জীবনে কেমন প্রভাব ফেলেছে, সেই বিষয়টি তুলে আনা। বিশ্বের ১১২টি দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীর মধ্যে করোনাকালীণ তাদের চাকরি, শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে এ জরিপ চালানো হয়।

জরিপে আরও দেখা যায়, ৩৮ শতাংশ তরুণ তাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত। কিছু তরুণ এরইমধ্যে করোনায় বেকারত্বের শিকার হয়েছে। তরুণদের প্রতি ছয়জনে একজন করোনার কারণে কাজ হারান।

যারা একইসঙ্গে কর্ম ও শিক্ষার সঙ্গে জড়িত, এমন ৭৩ শতাংশ তরুণের শিক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। তারা অনলাইন বা দুরমাধ্যম শিক্ষণ চালিয়ে নিতে পারেননি।

যারা এখনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরেছে, তাদের ৪২ শতাংশের কর্মঘণ্টা কমেছে। কমেছে তাদের উপার্জনও।