
স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরার কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দফতরি নিয়োগে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলেমিশে ১৪ লাখ টাকা নিয়ে জামায়াতকর্মী আক্তারুজ্জামান আক্তারকে দফতরি হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার হিজলদি গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ওই বিদ্যালয়ে দফতরি নিয়োগ বিষয়ে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় স্থানীয় একটি পত্রিকায়। পরে ৭ অক্টোবর নিয়োগ পরিক্ষার দিনে বলা হয় নিয়োগ স্থগিত হয়ে গেছে। পরে দিন জানানো হবে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন সে সময় প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিয়োগ দিচ্ছেন এমন অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হবার পর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের এক চিঠির প্রেক্ষিতে নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন কিছুদিন আগে সাতক্ষীরার একটি পত্রিকায় আবারও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এ অনুযায়ী গত ২৩ মার্চ দফতরি পদে নিয়োগ দেওয়া হয় আক্তারুজ্জামান আক্তার নামের এক জামায়াত কর্মীকে। অভিযোগ করে তিনি বলেন এজন্য প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান তার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেছেন। নিয়োগ পরিক্ষায় মাত্র তিনজন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের জানানো হয়নি। তিনি আরও বলেন নিয়োগকৃত আক্তারুজ্জান একজন জামায়াত কর্মী বলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন বিধি অনুযায়ী নিয়োগ পরিক্ষার পর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১৪ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। চার প্রার্থীর মধ্যে তিনজন উপস্থিত ছিলেন। নিয়োগ বোর্ডে থেকে ডিজি প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ মোট পাঁচজন তাদের পরিক্ষা গ্রহন করেন।
##