
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনে বিরোধিতা করায় একটি পরিবারের উপর অত্যাচার-নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া গ্রামের নব কুমার দাসের স্ত্রী শিলা দাস এই অভিযোগ করেন।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনে বিরোধিতা করায় জয়নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য খালিদ হাসান টিটু দেড় মাস আগে তাদের বাড়িতে গিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তাদেরকে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন ওই ইউপি সদস্য। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ মে ফের তাদের হুমকি দেওয়া হয়। টাকা না দেওয়ায় ৭ মে খালিদ হাসান টিটুর নেতৃত্বে ইউনুছ আলী, মোজব্বার মোল্যা, মোস্তফা মোল্যা, আনিছুর রহমানসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন তাদের বাড়িতে ঢুকে তার স্বামী নব কুমারকে ঘর থেকে বের করে বেদম মারপিট করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তাকে ও তার শ্বশুরকেও মারপিট করা হয়। দুর্বৃত্তরা তার শ্বশুরকে মারতে মারতে পার্শ্ববর্তী মোড়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় ৮ মে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপরও উল্লিখিতরা মামলা তুলে না নিলে ওই পরিবারের সদস্যদের ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য খালিদ হাসান টিটু জানান, নব কুমার দাস ও তার ভাই মারামারি করছিল। খবর পেয়ে আমিসহ অন্যান্যরা সেখানে যায় এবং তাদের দুইভাইকে চরথাপ্পড় মেরে থামিয়ে দেই। এর বাইরে আর কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে, পরাজিত একজন ইউপি সদস্য প্রার্থী এ ঘটনাকে পুজি করে নবকুমার দাসের পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মনগড়া অভিযোগ করিয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, পুলিশ ফাড়ি ও থানার পুলিশ কর্মকর্তারাও বিষয়টি জানেন। ##