
কে এম আনিছুর রহমান, কলারোয়া :
সাতক্ষীরার কলারোয়ার খোরদো বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। গত ২২ জুলাই ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় রোবাবর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি পৃথকভাবে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, গত ২৬ জুন রবিউল ইসলাম প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করায় ২৮ জুন স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র পান। নিয়োগ পত্র অনুযায়ী গত ১ জুলাই ওই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু ১ জুলাই পবিত্র মাহে রমজানের ছুটি থাকায় ওই দিন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে করেননি তিনি। ছুটি শেষে গত ২২ জুলাই ১ম কর্ম দিবসে স্কুলে যাওয়ার সময় স্কুল গেটে প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক জি এম আমিনুল ইসলাম ও অফিস সহকারী শফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত কয়েকজন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা তাকে গতিরোধ করে লাঞ্ছিত করে এবং প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি যেতে বাধ্য করে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম তাৎক্ষনিকভাবে স্কুলের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস চন্নু ও দাতা সদস্য স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানকে জানান। তারা দুই জনই পরের দিন ২৩ তারিখে স্কুলে যেতে বলেন এবং হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বলেন। ওই ২৩ জুলাই তিনি সভাপতির উপস্থিতিতে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার সময় অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। উভয়ের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বাক্ষরিত হাজিরা খাতার কিছু অংশ অফিস সহকারী ছিড়ে ফেলেন। এমনকি সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত পাতাটি বাতিল লিখে স্বাক্ষর করেন এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ডেকে প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেন। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান রবিউল ইসলাম শিক্ষক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ঘটনার সু-বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে, প্রধান শিক্ষকের উপর হামলাকারী সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকমকে জানান, আমি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধা দিয়েছি। কিন্তু তার উপর হামলার ঘটনা ঠিক নয়। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য থানায় মিথ্যে অভিযোগ দাখিল করেছে।