
কে এম আনিছুর রহমান ::
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। শুক্রবার দিনভর দেবী দুর্গা মাকে বিদায় দেওয়ার জন্য উপজেলার ৪২টি পূজা মন্ডপে ভক্তদের মধ্যে ছিলো শুধু বিষাদের ছায়া। এরই মধ্যে উপজেলার পৌর সদরসহ প্রতিটি পূজা মন্ডপে শুক্রবার দশমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দিনভর ভক্তরা বিষন্ন মনে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে দেবী দূর্গার বিদায়ের ক্ষনে ঘুরে ঘুরে দেখে বেড়ান এবং নিজেদের মঙ্গল কামনায় দেবীর নিকট প্রার্থনা করেন।
পৌরনিক কাহিনী মতে জানা যায়, ধর্মের গ্লানি ও অধর্ম রোধ, সাধুকে রক্ষা, অসাধু বধ এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতি বছর দূর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গা ভক্তদের মাঝে আবির্ভূত হন। বিজয়া দশমীর দিনে মর্ত্য ছেড়ে আবার ফিরে গেলেন কৈশালে স্বামীগৃহে দূর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গা।
পৌরনিক কাহিনী মতে আরো জানা যায়, দূর্গাদেবী হলেন ব্রক্ষার মানসকন্যা। যখন সংসারে অসুরের রাজত্ব চলছিলো, চারিদিকে অসুরের জয়, অসুরের দাপটে মানবকূল ত্রাহি ত্রাহি করছিলো, অসুর তাদের আসুরিক বৃত্তি দ্বারা সবার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলো, শান্তি-সমৃদ্ধি আর হিংসা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিলো। সেই আগুনে পুড়ে যাচ্ছিল মানুষের ভালো গুন বা মানবীয় সত্তা। তখন দেবী দূর্গাকে সৃজন করে ব্রক্ষা তাকে সর্বশক্তিতে ভরপুর করে অসুর বিনাশের জন্য মর্ত্যে প্রেরন করেছিলেন। দূর্গা দেবী তার দিব্য শক্তির দ্বারা অসুরী শক্তি বা অপশক্তিকে (অসুরকে) পরাভুত করে পুন:শক্তির জন্য সমর্থ হয়েছিলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে দূর্গা মায়ের মৃন্নয়ী মূর্তিতে চিন্ময়ী মূর্তির আরাধনা।
কলারোয়া পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, এ বছর উপজেলার পৌর সদরের ৮টিসহ ১২টি ইউনিয়নে ৪২টি মন্ডপে শান্তিপূর্ন ভাবে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব মন্ডপে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য তিনি কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনরে প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আরো বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন মন্ডপে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়ে রাতেই প্রতিমা বিসর্জনের কাজ শেষ হয়।