
আসাদুজ্জামান :
তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও কলারোয়া উপজেলা কৃষকদলের সভাপতিসহ দুই বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন। জামিন না পাওয়া আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও কলারোয়া উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি কেড়াগাছি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন এবং জামায়াত কর্মী শাহাবুদ্দীন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিবাদী পক্ষের আইনজীবি এড. আবদুল মজিদ তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন। এতে আপত্তি জানান পিপি এড. ওসমান গনি। শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দার মো. আমিরুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে এ মামলায় জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক এড. আবদুস সাত্তারসহ চারজন উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। আজ পর্যন্ত এ মামলায় ১১ আসামী জেল হাজতে রয়েছেন।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গনি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, গত ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরাধী দলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা হিজলদি গ্রামের ধর্ষিতা মুক্তিযোদ্ধা পতœীকে দেখে সাতক্ষীরা থেকে যশোর যাবার পথে কলারোয়ায় তার গাড়ি বহরে হামলার শিকার হন । এই হামলায় তিনি অক্ষত থাকলেও তার গাড়ির পতাকা স্ট্যান্ড ভেঙ্গে যায় এবং ৩০জন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেন কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মেসলেমউদ্দিন । আদালতে এই মামলাও খারিজ হয়ে গেলে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয় ।
তদন্ত শেষে কলারোয়া থানার ওসি ( তদন্ত) এ মামলায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব এবং কলারোয়া পৌর মেয়র ও বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. আকতারুল ইসলাম, পৌর বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আখলাকুর রহমান শেলীসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেন। ###