
নিজস্ব প্রতিবেদক :
এক এনজিও কর্মী কাম কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার বিজন কান্তি বেপারী (৫০) কে আটকের প্রায় ১৫ ঘন্টা পর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী একজন এনজিও কর্মী এবং বিএ অধ্যায়নরত।। বিজন দীর্ঘ আড়াই বছর আড়ে তালা উপজেলার খলিশখালী গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত থাকাবস্থায় তারই সহজাত পরিবারের সাথে ধরম বোনের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে ধর্মীয় পাতানো বোনের কলেজ পড়ুয়া
মেয়েকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিতে থাকে।
মেয়েটি সম্প্রতি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার রাত ৯ টায় দিকে ঝাউডাঙ্গা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অভিযুক্ত বিজন কান্তি বেপারীকে আটক করে সাতক্ষীরা সদর থানায় আনা হয়।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতে নেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ আবদুল সাদী কে জানালে তিনি বলেন, অভিযোগকারী ওই মেয়েটির গ্রাম তালা উপজেলায় এবং কর্মস্থল যশোর জেলার কেশবপুরে হওয়ায় তিনি এটি নিয়মিত মামলা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু সদর থানা পুলিশ মামলা না করে অভিযুক্ত কে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হক শেখ বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে ছেড়ে দিতে বলেছেন তাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ আবদুল সাদী বলেন, অভিযোগকারী মেয়েটির বাড়ী তালা উপজেলায় ও তার কর্মস্থল কেশবপুরে এবং ঘটনাস্থল সদর উপজেলায় না হওয়ায় আমি বিষয়টি সদর থানা অফিসার ইনচার্জকে নিয়মিত মামলা করার পরামর্শ দেয় এবং তিনি জানান আসামীকে নারী নির্যাতনের ১০ ধারায় মামলা করা হবে। এছাড়া ঘটনাটি আমার উপস্থিতিতে ঘটেনি এবং আমার তত্ত্বাবধানে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি। এছাড়া তাকে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে। এগুলো মোবাইল কোর্টের আওতায় পড়ে না। ফলে অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষ। এ অভিযোগের ক্ষেত্রে নিয়মিত মামলায় আইনের বিধান নেই।
বিজন কান্তি বেপারী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার জয়পুর গ্রামের বিশ্বেরস্বর বেপারীর ছেলে। তিনি প্রায় ১১ বছর যাবত সাতক্ষীরায়। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরী করে আসছেন।
এ ব্যাপারে বিজন কান্তি বেপারী ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকমকে জানান, বুধবার রাত ৯ টার দিকে তাকে আটক করে নিয়ে আসে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কি কারণে তাকে আটক করা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই পরিবারটার সাথে আমার একটু ভূলবুঝাবুঝি হয়েছিল। পরবর্তীতে সে-টা ঠিক হয়েগেছে।