
ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম ডেস্ক :
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বাংলাদেশি দূতাবাসের তৎপরতায় কামরুলকে ধরার একদিন পর মঙ্গলবার তিনি গাজীপুরের চন্দ্রায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান।
গত ৮ জুলাই কুমারগাঁওয়ে ১৩ বছরের রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন সৌদি আরব প্রবাসী কামরুল।
বাংলাদেশে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে সোমবার তাকে সৌদি আরবে ধরা হয় বলে দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ জানিয়েছেন।
ঈদের আগে মঙ্গলবার চন্দ্রায় মহাসড়ক পরিদর্শনে গেলে সাংবাদিকরা আইজিপির কাছে কামরুলকে ফেরানোর উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চান।
তখন শহীদুল হক বলেন, “কামরুল জেদ্দায় আমাদের কনস্যুলেটের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার হয়েছে। পরে তাকে লোকাল পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।”
গোলাম মসীহ বলেছিলেন, বর্তমানে জেদ্দায় একটি পুলিশ সেন্টারে আটক থাকা কামরুলকে বাংলাদেশে ফেরাতে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে।
সিলেটে রাজনকে পেটানোর সময় পাইপ হাতে কামরুল ইসলাম। ছবিটি ইউটিউব ভিডিও থেকে নেওয়া।
সিলেটে রাজনকে পেটানোর সময় পাইপ হাতে কামরুল ইসলাম। ছবিটি ইউটিউব ভিডিও থেকে নেওয়া।
এই হত্যাকাণ্ডের আসামি কামরুলের ভাই মুহিত আলমকে ইতোমধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আটক করা হয়েছে তার স্ত্রী ও এক স্বজনকেও। তবে মামলার দুই আসামি এখনও পলাতক।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তারা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
চুরির অভিযোগ তুলে রাজনকে আটকের পর তাকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি কয়েকটি স্থানে সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রেক্ষাপটে জনগণকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানান পুলিশ প্রধান।
তিনি বলেন, “ডাকাত যদি ধরা পড়ে, তবে পুলিশে খবর দেবেন। কিন্ত তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিৎ নয়। দেশবাসী যেন আইন হাতে তুলে না নেন।”
গণপিটুনি ঠেকাতে পুলিশের গাফিলতি থাকলে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।