
স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী কর্তৃক মিথ্যা মামলা ও নাটকীয়ভাবে মধ্যযুগী কাদায় নির্যাতনের মিথ্যে খবর প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার সাবেক স্বামী। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার আড়ংগাছা গ্রামের মৃত. আব্দুল্লাহ গাজীর ছেলে মোঃ অহিদুল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি বিগত ২০০৪ সালে শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ হাজীপুর এলাকার আব্দুল গফফার মোল্লার মেয়ে মাহফুজা খাতুনকে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী আমার মা ও ভাই-বোনদের সাথে দুর্ব্যবহার করতে থাকে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে আমার সাথেও তার বিরোধ বাধে। একপর্যায়ে স্ত্রী মাহফুজা খাতুন পরপর দু’বার আমার বৃদ্ধ মা মনোয়ারা বেগমকেও মারপিট করে। মা’কে মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে সে তার ভাইদের দিয়ে আমাকে মারপিটসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। প্রথম বার আমার মাকে মারপিট করে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ার পর স্থানীয়ভাবে একটি শালিশ মিমাংসা হয়। সেখানে আর এধরনের কাজ করবে না এবং আমার কথা মেনে চলবে মর্মে লিখিত অঙ্গিকার করে মাহফুজা। কিন্তু তার কিছুদিন পর সে পুনরায় আমার মা’কে মারপিট করে। আমি উপায় না পেয়ে গত ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারী খোরপোষসহ তাকে তালাক প্রদান করি। এঘটনায় মাহফুজা খাতুন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের সর্বশান্ত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১৭ মার্চ তার চাচী ফিরোজা খাতুন এবং বাবার বাড়ি এলাকার কয়েক ব্যক্তির সাথে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে তালাবদ্ধ ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় আমার মা মনোয়ারা বেগম ও ছোট ভাইয়ের অন্তঃসত্বা স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বাধা দিলে সে তাদেরকে মারপিট করে। এসময় একটি মিথ্যে নাটক তৈরি করে মাহফুজা আমার বাড়ির সামনে থাকা একটি সবেদা গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাড়ায় এবং তার সঙ্গের লোকজন এসে গাছের সাথে তার হাতে বেধে দিয়ে মোবাইলে ছবি ধারণ করে ইন্টারসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করে। সেখানে মাহফুজাকে বেধে মারপিটের কোন ঘটনাই ঘটেনি। অথচ ১৮ মার্চ বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় দেখলাম আমরা নাকি মধ্যযুগীয় কায়দা মাহফুজাকে নির্যাতন করেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এখবরে আমার এলাকাবাসী হতবাক হয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,পরে ওই দিন সন্ধ্যায় মাহফুজা খাতুন বাদী হয়ে আমাকে প্রধান আসামী এবং আমার বৃদ্ধা মা’কে ২নং এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ৩নং আসামী করে কালিগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় পুলিশ আমার মা এবং ভাইয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আর আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি উক্ত মিথ্যা মামলা থেকে আমার বৃদ্ধ মা এবং ভাইয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।