
ইব্রাহিম খলিল ::
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে চলছে বৈশাখী মেলা। সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় মেলা চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে মেলায় বাহারী সৌন্দর্যময় পণ্য দিয়ে স্টল সাজানো হয়েছে। বাঙ্গালীর সাংস্কৃতির ঐতিহ্য তুলে ধরতে রাখা হয়েছে নৌকার দোলনা, নাগরদোলা, বড় ধরনের মাছে সাদৃশ্য ট্রেন।
তবে মেলায় নেই দর্শনার্থী। মেলার মধ্যে হাতেগোনা দুই-একজন ঘোরাঘুরি করছেন। এমনকি মেলার গেট দিয়েও দর্শনার্থীদের প্রবেশের চাপ দেখা যায়নি।
বিশেষ করে মেলায় দর্শনার্থীদের আকর্ষন বাড়াতে রাখা হয়েছে পুরাতন ঢাকার চিংড়ি চপ, ঝাল চপ, রসুন চপ, উন্নতমানের শরবত সহ আরো নাম না জানা কত কিছু লোভনীয় খাবার সামগ্রী। শুধু তাই নয় ঝাল মুড়ি ও চটপটি দোকানের প্রতি দর্শনার্থীদের আকর্ষন ছিল মনকাড়ানো। বাঙ্গালী ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার নারীদের সুসজ্জিত করলেন শাড়ি, চুড়ি, ফিতা, সহ নানা সামগ্রী। মেলায় দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে সকল কিছু প্রস্তুত থাকলেও দর্শনার্থী উপস্থিত তুলনামুলক অনেক কম।
ঢাকা থেকে আগত কুরারিন্টর পরিচালক ব্যবসায়ী বাবু জানান, আমরা সকল বাহারী পণ্য সামগ্রী নিয়ে এসেছি কিন্তু ক্রেতা অনেক কম। মেলার সময় বৃদ্ধি না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হব।
নড়াইল থেকে আগত গাউছিয়া গার্মেন্টসের মালিক রাসেল জানান, কেবল মেলা জমতে শুরু করছে মেলার সময় বাড়লে লোকসান হবে না।
নিরিবিলি ফাস্ট ফুড মালিক শাহিন জানান, মেলায় বেশ দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছে। বাকি দিন গুলি এমনি ভাবে চললে লাভ হবে।
মেলার ক্রেতা সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো: কাদির উদ্দীন জানান, জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৈশাখী মেলায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তুলনামুলক কম। তবে গরম কমলে মেলার উপস্থিতি অনেক বাড়বে। সে ক্ষেত্রে সময় বৃদ্ধি করতে হবে। মেলার দর্শনার্থী শিক্ষার্থী অর্পণ বসু জানান, মেলায় সকল বয়সের মানুষের প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে। তবে দাম একটু সহনশীল হলে ভাল হতো।
বৈশাখী মেলার পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক শিকদার জানান, মেলায় সব বয়সের মানুষের বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য আকর্ষনীয় খেলনা এবং নানা সামগ্রী রাখা হয়েছে। এখন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলায় দর্শনার্থী কম। তবে মেলার সময় বৃদ্ধি হলে দর্শনার্থী বৃদ্ধি পাবে। উলেখ্য গত ২৮ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এ মেলার উদ্বোধন করেন।