
গোপাল কুমার, আশাশুনি :
স্বপ্ন সেটা নয় যেটি মানুষ ঘুমের মধ্যে দেখে, স্বপ্ন সেটি যেটি মানুষকে বাচিয়ে রাখে। নিয়তির নিষ্ঠুরতা, প্রাকৃতিক বিপর্যয় সব কিছুকে অপেক্ষা করে আর ১০জন মানুষের মত স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাবন করছেন। উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের মৃত কেরামত আলীর পুত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী আজগর সরদার (৪০)। জন্মগতভাবে একটি পা একেবারেই অচল, ক্রেজ ছাড়া চলতে পারে না। পেশায় তিনি একজন ভ্যান চালক, একটি পা সম্পূর্ণরূপে অকেজো। তারপর তিনি এনজিও থেকে লোন নিয়ে কিস্তিতে একটি মটর ভ্যান চালিয়ে তার জীবিকা নিবাহ করছে। সহায় সম্বল বলতে কাটাখালী নদীর চর ভরাটি মাথাগোজার মত ১শতক জমি মাত্র। আজগরের সাথে কথা বললে তিনি জানান তার সীমাহীন দুঃখের কথা। প্রাকৃতিক বিপর্যায়ের কারণে নিজ জেলা খুলনার কয়রা থেকে চলে আসেন আশাশুনির কাটাখালীতে। ভিক্ষা বৃত্তি না করে তিনি স্বাভাবিকভাবে কর্মক্ষম মানুষের মত কায়িক শ্রমে জীবন প্রবাহ করে থাকে। খড় দিয়ে চরভরাটি নদীর ধারে একটি ঘর বেধে বসবাস করেন। তার ৪টি ছেলে মধ্যে ছোট ছেলেটি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করেন। বড় ছেলেটিকে তিনি বিবাহ দিলেও সে অন্যত্র চলে গেছেন। তবুও তিনি হারমানেনি নিয়তির কাছে। বদরতলা টু চাম্পাফুল কালিবাড়ী যাত্রী প্রতি ১৫টাকা এবং বদরতলা টু পারুলিয়া যাত্রী প্রতি ১০টাকায় ভ্যান চালিয়ে চলছে তার সংসার। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ক্রেজ ছাড়া তিনি চলতে পারে না একটি পাও। তবু তিনি একজন শ্রমজীবি মানুষ। আজগর আলী আমাদের এ প্রতিবেদককে জানান যদি নদী খনন কাজ শুরু হয় তবে কোথায় যেয়ে মাথা গুজবো তা জানা নেই। তবে তিনি সরকারি বা বেসরকারি এনজিও সাহায্যকারী সংস্থার সাহায্য পেয়ে একট ুকারো খাস জমিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার আবেদন করেছেন। ##