
ভাঙ্গনের ৭৯ দিন অতিবাহিত
শেখ মনিরুজ্জামান মনু, কয়রা ::
ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে বিধবস্ত কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ানের ৪ টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ লোনা পানিতে ভাসছে। আম্ফানে বিধবস্ত হওয়ার ৭৯ দিন অতিবাহিত হলেও লোনা পানি মুক্ত হতে পারেনি ওই এলাকার মানুষ। দীর্ঘদিনেও বাঁধ নির্মান না হওয়ায় মানুষের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে । জানা গেছে, গত ২০ মে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০ টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে লোনা পানিতে তলিয়ে যায় উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে কয়রা,মহারাজপুর ,দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়ানের ১৫ টি এবং উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ানের ৪ টি স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ী বাঁধ সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে আটকানো হলেও অরক্ষিত থেকে যায় উত্তর বেদকাশীর কাশিরহাট খোলা বেড়ী বাঁধ। যা আজও আটকানো সম্ভব হয়নি । যার ফলে কাটমারচর,বেদকাশী,পশ্চিম হাজতখালী ও পূর্ব হাজতখালী গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। জোয়ার-ভাটার পানি আসা যাওয়া করছে প্রতিনিয়ত। নিদারুন কষ্ঠে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তাদের । লোনা পানিতে ডুবে থাকা ঘরবাড়িতে কেউ ফিরতে পারছে না । যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বেদকাশী গ্রামের নাসিমা খাতুন বলেন, প্রতিনিয়ত জোয়ার ভাটার পানি উঠানামা করছে স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারছি না । পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে আছি।
উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরদার নুরুল ইসলাম বলেন ,ভেঙ্গে যাওয়া বাধ আটকানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু সম্ভব হয়নি।
পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাতক্ষীরা -২ সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষথেকে বাঁধ আটকানোর জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। আগামী মরা গোনে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি আটিকানোর কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন , রিংবাধের কাজ শুরু করা হয়েছে । রিংবাধেঁর কাজ শেষ হলেই এলাকার মানুষ লবন পানি মুক্ত হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ি বাঁধ পর্যায় ক্রমে আটকানো হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের কাশির হাটখোলা বাধঁটি অরক্ষিত রয়েছে । দ্রুত সময়ের মধ্যে আটকানো হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।