
শেখ মনিরুজ্জামান মনু ::
কয়রায় ইটভাটা শ্রমিকদের আগমনে জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারনে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতিদিন কয়রায় শত শত ইটভাটা শ্রমিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা থাকা সত্ত্বেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গভীর রাতে এলাকায় প্রবেশ করছে। জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের ঝুকি নিয়ে রাতের আধারে ঢাকা,মাদারীপুর,মানিকগঞ্জ , আশুলিয়া,নারায়নগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করছে। যার কারনে এলাকার মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। গনপরিবহণ বন্ধ থাকায় কৌশলে ট্রাকের ভিতরে অবস্থান নিয়ে ট্রাক পলিথিন দিয়ে ঢেকে গাদা গাদি করে আবার অনেকে ট্রলারে করে গভীর রাতে এলাকায় ফিরছে। তাদের মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই। ইটভাটা শ্রমিক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান,ভাটার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা বাড়িতে ফিরেছি। বাড়িতে ফেরার পরে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ১৪ দিন বাড়িতে থাকতে বলেছে। সে জন্য বাড়িতেই আছি।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ সুদীপ বালা জানান,দেশের বাহিরে থেকে আগমনকারীদের যেমন হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে তেমনি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ইটভাটা শ্রমিকদের প্রশাসনের সহযোগিতায় হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে পারলেই অনেক টা ঝুকিমুক্ত থাকা সম্ভব ।কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ রবিউল হোসেন জানান, থানা পুলিশের নেতৃত্বে প্রতিটি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য কে সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে । তাদের নেতৃত্বে এলাকায় কোন বহিরাগত বা ইটভাটা শ্রমিক প্রবেশ করলে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই কমিটির কার্যক্রম তদারকি করার জন্য ইউনিয়ানের দায়িত্ব প্রাপ্ত এক জন এস আই ও এক জন এএসই দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা এলাকায় প্রবেশ করেছে মানবিক কারনে তাদেরকে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় কাজ করছে।