
এম কামরুজ্জামান ॥
চলতি বর্ষা মৌসুমে এই প্রথম বারের মত সাতক্ষীরায় বৃহস্পতিবার রাতভর ভারি বৃষ্টি হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘন্টার ভারি বর্ষণে সাতক্ষীরা জেলা শহরের নিম্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে। জেলা শহরের নিম্মাঞ্চলের অসংখ্য বাড়ি-ঘরে উঠেছে পানি। ফসলি জমি, একাধিক মাছের ঘের ,পুকুর ভেসে গেছে। জেলা শহরের নিম্মাঞ্চল প।লাবিত হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
সরেজমিন সাতক্ষীরা জেলা শহরের পলাশপোল, কামাননগর, কামাননগর বউ বাজার, পুরাতন সাতক্ষীরা, রাজারবাগান, বদ্দিপাড়া কলনি, কাটিয়া , লস্করপাড়া, মধুমল্লারডাঙ্গিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বিস্তিন্ন এলাকা পানির নীচে। শত শত কাঁচা ঘর-বাড়ি ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অসংখ্য চিংড়ি ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে। পানি নিস্কাশনের কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারন সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল ভয়েস অব সাতক্ষীরাকে জানান, কামাননগর ও পলাশপোল এলাকায় কয়েক জন প্রভাবশালী ঘের মালিক পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে সেখানে চিংড়ি ঘের করার এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঘের মালিকরা পানিনিস্কাশনের কোন পথ রাখেনি। একটু বৃষ্টি হলেই এসব এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি উঠছে। মাছের ঘের কেটে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। না হলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ স্থায়ী ভাবে পানিবন্ধি হয়ে পড়বে।
একই চিত্র সাতক্ষীরা জেলা শহরের চারিপাশের নিম্মাঞ্চলের। অপকিল্পিত মৎস্য ঘের করে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করার কারণে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকমকে জানান, আগামী রোববর বেলা ১১ টায় মাছখোলার ডায়ের বিলে অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ করে পানি নিস্কাশনের পথবন্ধসহ জেলা শহর ও আশপাশের পানি নিস্কাশন বিষয়ে জরুরী সভা আহবান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।ওই সভায় বৃষ্টির পানি নিস্কাশন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। তিনি ওই সভায় ভূক্তভোগিদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।