
ওয়াহেদ-উজ-জামান, খুলনা :
দৈনিক পূর্বাঞ্চল সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ষাটের দশকের তুখোর ছাত্রনেতা, খুলনা বিভাগীয় প্রেসক্লাব ফেডারেশনের চেয়ারপার্সন ও বাসস পরিচালক আলহাজ্ব লিয়াকত আলী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি——–রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। গতপরশু ১২টায় তিনি ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গতরাত ২টায় ঢাকার মগবাজারস্থ কুইন্স গার্ডেন চত্বরে তার প্রথম নামাজে জানাজা শেষে লাশ ঢাকা মাওয়া সড়ক পথে খুলনায় তার বাসা পূর্বাঞ্চল অফিসে আনা হয় দুপুর একটায়।
সেখানে মরহুমের আতœীয় স্বজন, অসংখ্য সাংবাদিক, গুনগ্রাহী, সুধীজন, সরকারী, বেসরকারী ব্যক্তিবর্গরা ভড়ি জমান এক নজর দেখার জন্য। তার এক পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রয়েছে।
বিগত কয়েকদিন ধরে আলহাজ্ব লিয়াকত আলী জ্বরে ভুগছিলেন। এছাড়া বিগত প্রায় ছয় মাস ধরে তার সহধর্মীনি ও পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বেগম ফেরদৌসী আলীর চিকিৎসাজনিত কাজে সময় পার করছিলেন।
দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত বেগম ফেরদৌসী আলীর চিকিৎসাজনিত কারনে আলহাজ্ব লিয়াকত আলী ছিলেন মানসিক চাপে বিপর্যস্ত। গতরাতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১২টায় সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তাঁর মৃত্যুর খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে খুলনাসহ সারাদেশের সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। খুলনার সাংবাদিকরা দৈনিক পূর্বাঞ্চল কার্যালয়ে এসে মরহুমের আত্মীয়-স্বজনসহ পূর্বাঞ্চল পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন।
আমেরিকায় অবস্থানরত মরহুমের একমাত্র পুত্র মোহাম্মদ আলী সনিসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকে জানানো হলে তারা সেখান থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে বলে পারিবারিকভাবে জানানো হয়েছে। সকালে লিয়াকত আলীর মরদেহ খুলনা এসে পৌছনোর পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। তার পুত্র, মেয়ে ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন আসার পর জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন,খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা ওয়ারকিং জার্নারিস্ট ইউনিটির নেতৃবৃন্দ তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।