
ওয়াহেদ-উজ-জামান, খুলনা ব্যুরো :
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপনের অংশ হিসেবে ২৯জুলাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকালে ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অতিথিবৃন্দের সমন্বয়ে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে পোনা অবম্ক্তু করা হয়। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের টিচিং ল্যাবে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। “প্রণ (গলদা) হ্যাচারি ম্যানেজমেন্ট: চ্যালেঞ্জস এন্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড” শীর্ষক এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। তিনি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন আয়োজিত বিষয় ভিত্তিক এ কর্মশালাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বিদেশে আমাদের দেশের নামও প্রচার করে। এটা আমাদের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। তাই এই গলদা চিংড়ি চাষ যাতে টিকে থাকে, উৎপাদন বৃদ্ধি পায় সেজন্য এই ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে অত্যন্ত মনোযোগী হতে হবে এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি বলেন, গলদা চিংড়িসহ সবধরণের মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টা ও গবেষণার বিষয়টি জরুরী। দেশে মৎস্য শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এটিসি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান, এফএমআরটি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আইয়াজ হাসান চিশতী এবং উপ-পরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, খুলনা, মোঃ মনিরুজ্জামান। কর্মশালায় মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের অঁনঁৎধ টহরাবৎংরঃু এর শিক্ষক বিল ড্যানিয়েল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রউফ। কর্মশালায় গলদা চিংড়ির পোনা উৎপাদনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পঠিত নিবন্ধের ওপর মতামত দেন প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুদ্দিন শাহ্, ওয়ার্ল্ড ফিশের হুমায়ুন কবীর, বিএসএফ এর মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার সরকার, সুকুমার বিশ্বাস প্রমূখ। কর্মশালায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গলদা চিংড়ি হ্যাচারীর প্রতিনিধি, টেকনিশিয়ানসহ ৫০জন শিক্ষক, গবেষক ও সরকারী-বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির গবেষক অংশ নেন।